ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে পেসারবিহীন একাদশ নামিয়েছিল বাংলাদেশ। চার বিশেষজ্ঞ স্পিনারের সঙ্গে অনিয়মিত আরও তিন স্পিনার দিয়ে আফগানিস্তানকে কাবু করার ফাঁদ পাতা ছিল চট্টগ্রামে। বাংলাদেশের স্পিনে খুব একটা কাবু হয়নি আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানের স্পিনে পুরো কুপোকাত হয়ে গেছে বাংলাদেশ। টেস্টে একেবারে নবিশ আফগানদের বিপক্ষে দলের এই অবস্থায় উঠছে কতগুলো প্রশ্নও।
নিজেদের পাতা ফাঁদে ধরা পরেছে টাইগাররা। আফগানিস্তানকে স্পিন দিয়ে কাবু করার পরিকল্পনা হিসেবে স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করা হয়েছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। পেসারের পরিবর্তে একাদশ সাজানো হয়েছিল সাতজন স্পিনার নিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি। আফগানিস্তান প্রথম ইনিংসে সবগুলো উইকেট হারানোর আগে ৩৪২ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের হয়ে ১১৬ রান খরচ করে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম।
এরপর শুক্রবার দ্বিতীয় দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেই রশিদ-নবিদের স্পিন ঘুর্ণিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে সাকিব-মুশফিকরা। পিচের পুরো সুবিধাই তুলে নিয়েছে আফগান বোলাররা। দলের রানের খাতায় ১০০ রান যোগ হওয়ার আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।
তামিমের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া ওপেনার সাদমান ইসলাম নিজের নামের পাশে কোন রান যোগ করতে পারেননি। সাদমান ইসলাম আউট হওয়ার পর সৌম্য সরকার ও লিটন দাশ ধরে খেলার চেস্টা করেন। কিন্তু তারা ইনিংসকে বেশি দূর টেনে নিতে পারেননি।
সর্বশেষ আট উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে ৪৪ রান করে এক প্রান্তে অপরাজিত আছেন মোসাদ্দেক হোসেন। অন্যপ্রান্তে ১৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান এসেছে মমিনুলের ব্যাট থেকে। অধিনায়ক রশিদ খান আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন। আফগানদের চেয়ে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে ১৪৮ রানে।