বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ফেনী সদরে করা হত্যা চেষ্টার মামলায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার সকালে দাগনভূঞা উপজেলার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম। গ্রেপ্তার নুর আলম বিপ্লব (৪৮) উপজেলার এনায়েতনগর গ্রামের আজিজুল হক সরকারের ছেলে।
মামলা সূত্রে র্যাব জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ অগাস্ট শহরের মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। সেই সময় ফেনী-২ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে গুলির ঘটনা ঘটে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আবদুর রব ভয়ে মহিপাল পাসপোর্ট অফিসের দিকে চলে যান। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা আবদুর রবকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা হত্যার উদ্দেশে তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবদুর রব বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ১৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নুর আলম ৮৪ নম্বর আসামি।
র্যাবের স্কোয়াড্রন লিডার সাদেকুল ইসলাম বলেন, গোপন খবর পেয়ে নুর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আসামিকে দুপুরে দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ও শনিবার (১৬ নভেম্বর)ফেনী মডেল থানা পুলিশের একটি দল ফেনী সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আ ন ম কাশেদুল হক বাবরসহ আরো তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।