সিরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি বিদ্রোহী সিরিয়ান স্যালভেশন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সম্মতি জানিয়েছেন।
সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারাসামরিক বাহিনীতে অংশ নেওয়া সব সেনাসদস্যের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্রোহী জোটগুলো একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনায় অগ্রসর হয়েছে। বিদ্রোহী জোটের প্রধান কমান্ডার আবু মোহাম্মদ আল জোলানি নেতৃত্বে রয়েছেন এবং একটি স্থিতিশীল প্রশাসন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আল জোলানি ইতোমধ্যে আসাদ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ জালালি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল মেকদাদের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছেন। আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো ও কার্যপ্রণালী নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে বলে জানা গেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী নেতা মোহাম্মদ আল বশির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন। তিনি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি ছোট অঞ্চলের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মোহাম্মদ আল বশির সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে ১৯৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের (এসএসজি) প্রধান হিসেবে মনোনীত হন। এর আগে তিনি এসএসজির মানবিক ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস সিরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনে বিদ্রোহীদের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছে, সিরিয়া তার ঐতিহাসিক ভূমিকা ফিরে পাবে এবং ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিদ্রোহী জোটের সরকার গঠনের এই উদ্যোগ সিরিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে বাধ্যতামূলক সামরিক বাহিনীতে অংশ নেওয়া সব সেনাসদস্যের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। বিদ্রোহীরা টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘তাদের (আসাদের অধীনে সেনাবাহিনীতে কাজ করা ব্যক্তিদের) জীবন সুরক্ষিত থাকবে এবং কেউ তাদের ওপর হামলা করতে পারবে না।’
অপরদিকে, সিরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি বিদ্রোহী শাসিত ইদলিবভিত্তিক সিরিয়ান স্যালভেশন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সম্মতি জানিয়েছেন। আল-আরাবিয়া টিভির একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ সম্মতির কথা বলেন।
বিশ্লেষকরা সার্বিক এ পরিস্থিতিতে, সিরিয়ার পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ।