মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবির রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড়ের কাছে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতির মারামারির দৃশ্য ধারণ করায় এক সাংবাদিককে জোর করে তুলে নেয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
এসময় শোভন বলেন, আমরা সবসময় চাই সাংবাদিকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। যেটার দায় আমরা এড়াতে পারিনা। ওই সাংবাদিক ভিডিও করার সময় কিছু উশ্ঙ্খৃল কর্মী ছিল যারা একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারত। তাকে রক্ষা করার জন্যই আমি তাৎক্ষণিক তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়েছি। পরে শুনলাম সে সাংবাদিক। ভিডিও ডিলিটের ব্যাপারে আমি জানতাম না। পরে অবশ্য আমি তাকে নিরাপদভাবে পৌছে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এবারের মতো আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবির রায়হান বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতির দুঃখ প্রকাশ করার পর আর কিছু বলার থাকে না। তবে এরকম আর কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা শক্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
উল্লেখ্য, ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের দুই অনুসারীর মধ্যে মারামারির দৃশ্য ধারণ করেছিলেন দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ঢাবি প্রতিনধি নুর হোসেন ইমন। তখন তা দেখে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় মোবাইলটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ইমনকে শোভনের কাছে নিয়ে যায়। শোভন ইমনকে নিজের গাড়িতে তুলে ভিডিওটি ডিলিট করান।