“কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ধর্ষণের শিকার ৯ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী সাত মাসের অন্ত:সত্বা হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা বিচার চেয়ে সমাজপতিদের কাছে ঘুরলেও বিচার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
‘এ ঘটনায় সাত মাস আগে থানায় মামলা হলেও আসামী ধরতে পারেনি পুলিশ। আসামী প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার ।
‘মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাত মাস আগে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার হরিশ্বর তালুক গ্রামের নবম শ্রেনীর ছাত্রী মোছা: মমতা আক্তারের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে একই গ্রামের খাসপাড়া এলাকার কলিম উদ্দিন ব্যাপারীর পুত্র মো: সুমন মিয়া। এতে হরিশ্বর তালুক উচ্চ বিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রী অন্ত:সত্বা হয়ে পড়লে সুমনের পরিবারকে বিয়ের কথা বলে ছাত্রীর পরিবার। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বিচার চেয়ে গত ৩ জানুয়ারি রাজারহাট থানায় মামলা দায়ের করেন মমতা আক্তারের পিতা মতিয়ার রহমান।
‘পরিবারের অভিযোগ, স্কুল যাওয়া আসার পথে নানা সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসতো সুমন মিয়া। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাতে বাড়িতে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিক দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে সুমন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
‘দীর্ঘ সাত মাসে আসামী ধরতে না পারলেও তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানালেন রাজারহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক।”