“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সংঘাত নয়, রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।
সোমবার (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকা ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’র সাপ্তাহিক সাময়িকী টুডে’স ওয়ার্ল্ডভিউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের নিজেদের সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা করছে। নিবন্ধে আরো বলা হয়, প্রায় দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন জাতিগত নিধন অভিযানের শিকার হয়ে সীমান্তের ওপার থেকে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী এবং তারা সেখানকার নাগরিক নয়- মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একেবারেই গ্রহণ করেনি।
‘রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের বোঝা হয়ে থাকতে পারে না’ শীর্ষক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মহল যদি ভাবে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান আসবে, তাহলে সেটা অবশ্যই ভালো সিদ্ধান্ত।
ইতোমধ্যে, সংকটের বিষয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় বিশ্ববাসীর কাছে আশ্রয়দাতা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টিও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যকর না হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হবে রোহিঙ্গারা। ক্রমবর্ধমান হতাশাগ্রস্ত ও কর্মহীন রোহিঙ্গারা মৌলবাদ ও উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পড়বে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন বাংলাদেশে থাকলে ধর্মান্তরিত বা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।”
নিবন্ধে প্রতিবেদক কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন, যেমন- যে দেশে তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত হবে না এবং সহিংসতার হুমকি থেকে যাবে সেখানে তাদের প্রত্যাবাসন সম্পূর্ণ করা সম্ভব কি-না? অথবা ক্যাম্পের অবরুদ্ধ অবস্থায় তারা থেকে যাবে।
নিবন্ধে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, অন্যরা প্রভাবিত হয়নি এবং মিয়ানমার বুঝতে চাচ্ছে যে, তারা সেখানে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করছে।
মাহাথির আরো বলেন, এ কারণে আমরা হতাশ। কারণ আমরা জানি যে, সেখানে আসলে গণহত্যা চলছে।