“১৭ বছর থেকে পলাতক এক অপরাধীকে শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করেছে চীনের পুলিশ। অবশেষে অপরাধীকে শনাক্ত করে ‘তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সং জেং নামের ৬৩ বছর বয়স্ক ওই অপরাধী পাহাড়ের এক গুহায় লুকিয়ে ছিলেন। মানবপাচার ‘মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জেং ২০০২ সালে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তার সন্ধান করছিল চীনের পুলিশ।
‘দীর্ঘদিন থেকেই পুলিশ জেংয়ের বিষয়ে খোঁজ খবর করলেও চলতি সেপ্টেম্বরে তার বিষয়ে প্রথম ক্লু পায় দেশটির সামাজিক মাধ্যম ‘উইচ্যাটে। এরপর সেই উইচ্যাটের সূত্র ধরেই তারা জেংয়ের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কাজ শুরু করে। জেং পালানোর পর থেকে ‘পাহাড়ের খাঁজে মানুষের তৈরি এক গুহায় বসবাস করে আসছিল। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য ইউনান প্রদেশে ওই গুহায় তার অবস্থান নিশ্চিত করতে পরে পুলিশ ড্রোন ব্যবহার করে। তবে তার আগে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাকে খোঁজার কাজ অব্যাহত ছিল। ‘কিন্তু যখন কোনোভাবেই তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ড্রোন ব্যবহার করে পুলিশ।
”পুলিশ জেং কে গ্রেফতারের পর জানিয়েছে, পাহাড়ের গুহায় রীতিমত সংসার পেতেছিলেন তিনি। তবে প্রথম দিকে ড্রোনের ছবিতে তাকে চিনতে কষ্ট হলেও চেহারা স্পষ্ট হওয়ার পর পুলিশ তাকে চিনতে পারে এবং চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। পরে তাকে থানায় নেয়া হয়।”