মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সব ব্যাংকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। নির্দেশনা অনুসারে অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে তিনি তার নিজের ও প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে আর কোনো টাকা উত্তোলন কিংবা জমা দিতে পারবেন না।
চিঠিতে সেলিমের ঠিকানা হিসেবে গুলশান-২–এর ১১/এ সড়কের মমতাজ ভিশন, কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও রোডের প্ল্যানার্স টাওয়ার ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভূলতার প্রধান বাড়ি উল্লেখ করা হয়েছে।
সেলিমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারস লিমিটেড। এছাড়া পি২৪ ল ফার্ম, এইউ এন্টারটেইনমেন্ট, পি২৪ গেমিং, প্রধান হাউস ও প্রধান ম্যাগাজিন আছে তার। যার মধ্যে তিনি অনলাইনে জুয়াড়িদের পি২৪ গেমিংয়ের মাধ্যমে ক্যাসিনোয় যুক্ত করতেন।
সেলিমের জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট ও অফিসের নথিপত্র ছাপা হয়। যদিও রূপালী ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের মধ্যে এ প্রেসটি অন্যতম। গত বছরে ঋণ পুনঃতফসিল করার পর সেলিমের কাছে প্রায় একশ কোটি টাকা পাওনা আছে ব্যাংকটির।
এর আগে সেলিমের গুলশান-২-এর বাসা কাম অফিস মমতাজ ভিশনে প্রথম অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে নগদ সাত লাখ টাকা, ৭৭ লাখ টাকা সমমানের বিদেশি মুদ্রা ও আট কোটি টাকার চেক, বিদেশি মদ ও হরিণের চামড়া জব্দ করে।
নগদ সাত লাখ টাকা, ৭৭ লাখ টাকা সমমানের বিদেশি মুদ্রা ও আট কোটি টাকার চেক, বিদেশি মদ ও হরিণের চামড়া জব্দ করে, তার বনানীর আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ২১ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। ছবিঃ ফাইল।পরে তার বনানীর আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ২১ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
সেলিম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছিলেন, কারাগারে থাকা ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সেলিম। মামুনকে তিনি একটি বিএমডব্লিউ গাড়িও উপহার দিয়েছিলেন। এ ছাড়া সেলিম বিভিন্ন সময় লন্ডনে টাকা পাঠিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন।
র্যাব অধিনায়ক সে সময় বলেছিলেন, লন্ডনে কোথায় তিনি অর্থ পাঠাতেন, তা সমীক্ষা করে জানানো হবে।