গাজীপুরে আজ গাজীপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক টঙ্গী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাদকদ্রব্য, নকল ও অবৈধ ঔষধ তৈরি ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত করে। বুধবার উক্ত মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ।
পরিচালিত অভিযানে টঙ্গী রেল স্টেশন এলাকা থেকে গাঁজা ও বিপুল সংখ্যক ঔষধ, নেশার জন্য ব্যবহৃত প্যাথেডিন, ইফিড্রিন জাতীয় ইনজেকশন, সিরিঞ্জ জব্দ করা হয়। এ সময় মাদকদ্রব্য রাখা ও ব্যবহারের দায়ে ৭ জনকে আটক করা হয়।
পরে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান আটককৃত দের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর অধীনে আটককৃত ৭ জন আসামিকে বিভিন্ন ধারায়, বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আজকের পরিচালিত অভিযানে টংগী রেল ষ্টেশন এর পার্শ্ববতী এলাকায় অভিযান চালিয়ে টঙ্গীর অবৈধ, নকল ও নিষিদ্ধ ঔষধের প্রধান পাইকারি বিক্রেতা কে আটক করা হয়। আটককৃত উক্ত প্রধান ব্যবসায়ীর অবৈধ, নকল ও নিষিদ্ধ ঔষধের ২ টি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ওষুধ জব্দ করা হয়।
টঙ্গীর অবৈধ, নকল ও নিষিদ্ধ ঔষধের প্রধান পাইকারি বিক্রেতার ২ টি গোডাউন হতে জব্দকৃত অবৈধ ওষুধ। ছবিঃ সচেতন বার্তা।আটককৃত অবৈধ, নকল ও নিষিদ্ধ ঔষধ ব্যবসায়ীকে ১৯৪০ সালের ড্রাগ আইন অনুসারে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আজকের অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিচালিত অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান দৈনিক সচেতন বার্তাকে অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় তার সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ। পরিচালিত অভিযানের মোবাইল কোর্টকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গাজীপুর, ড্রাগ ইন্সপেক্টর এবং ব্যাটেলিয়ন আনসার সদস্যগন।
মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।