রোববার (১৩ অক্টোবর ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সম্রাটের উন্নত চিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে করে বলেন ‘মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমার ছেলেকে মুক্ত করে দিন। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। এভাবেই আকুতি জানালেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মা সায়েরা খাতুন।
এরপর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের মায়ের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সম্রাটের বোন ফারহানা চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার সন্তানের বাইপাস সার্জারি করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক মদ্যপান করা তার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই সে জেনে শুনে কখনো মদ পান করবে না। গ্রেফতারের দশদিন আগে থেকেই সম্রাট অফিসে ছিল না। অফিস ছিল অরক্ষিত। শরীর খারাপ থাকায় অন্যত্র অবস্থান করছিল। তার অফিসে মদ ইয়াবা পিস্তল কিছুই ছিল না। আমাদের আশঙ্কা এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি ক্লাব পরিচালনা করার জন্য কমিটি রয়েছে। আমার সন্তান সম্রাট কোন ক্লাবের পরিচালনা কমিটির সদস্য নয় এবং ডাক গ্রহণকারীও নয়। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে।
সম্রাটের মায়ের পক্ষে তার বোন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি মমতাময়ী জননী, মানবতার মা, সম্রাট আপনার কর্মী, আপনার সন্তানতুল্য, সম্রাট আপনার সংগঠনের অনুপ্রবেশকারী নয়। আমি একজন মা হিসেবে আপনার কাছে আকুতি করছি, সম্রাটের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে ওকে মুক্ত করে দিন। তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়ে আমার সন্তানের জীবন রক্ষা করুন।
গত মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সম্রাট বুকে ব্যথা অনুভব করলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়। সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে সিসিইউতে পাঠান। সিসিইউতে যাওয়ার পর সম্রাটকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে রোববার রাতে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুই মামলা করেছে র্যাব।
রোববার (৬ অক্টোবর) ভোররাতে যুবলীগের নেতা সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হককে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আটক করে র্যাব। ওইদিন সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে পিস্তল, গুলি, ইয়াবা বড়ি, বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুটি ক্যাঙারুর চামড়া, বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার দুটি যন্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।