সারা দেশে চলমান গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলোর মধ্যে প্রায় এক–তৃতীয়াংশের নির্মাণ–কাজ একক ও যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছিল গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
পূর্ত ভবনের প্রভাবশালী এই ঠিকাদার বর্তমানে মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। তাঁর ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।
শামীমের সম্পদের তথ্য গত ১৫ অক্টোবর সিআইডির কাছে পাঠিয়েছে ১২টি সংস্থা। তাঁর সম্পদের ব্যাপ্তি এতটাই যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দুই হাজার ডকুমেন্ট পাঠাতে হয়েছে সিআইডিতে।
সিআইডি রাত-দিন কাজ করে চলেছে এই টেন্ডার মাফিয়ার সম্পদের হিসাব জানতে। তবে গতকাল পর্যন্ত পাঁচ দিনেও সব ডকুমেন্ট পড়ে তাঁর সম্পদের তালিকা করা সম্ভব হয়নি।
সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মানি লন্ডারিং মামলাগুলোর তদন্তে অনেক গভীরে যেতে হয়। এ জন্য সময় লাগে। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য ও সিআইডির পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। গরমিল কোথায় কোথায় সেগুলো খুঁজে বের করা হবে।’
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার দক্ষিণপাড়া গ্রামের মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শামীম বসবাস করতেন বনানীর ডিওএইচএসে। আর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনটি তিনি তার জিকে বিল্ডারস অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন।
নিকেতনের ওই অফিসে অভিযান চালিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।