বাসার ছাদে গাছ লাগানো পছন্দ না হওয়ায় এক নারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে সাভারের সিআরপি রোডের এক বাসার ছাদের গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা কোনো একজন ঘটনার ভিডিও ধারন করেন। সুমাইয়া হাবিব নামের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও টি শেয়ার করে পোস্টে লিখেছেন,
” কখনো কি শুনছেন মানুষ গাছ অপছন্দ করে? গাছ পরিবেশ নষ্ট করে? এই মহিলার গাছ পছন্দ না। তার বক্তব্য আমাদের গাছ ছাদের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। তাই এই মহিলা আমাদের সব গাছ কেটে ফেলছে। কি অপরাধ ছিল গাছের???? কি অপরাধ ছিল????? কেউ বলতে পারবেন???”
বর্তমান সরকার যখন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ছাদবাগান করতে জনগনকে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। যারফলে বহুতল ভবনে ছাদবাগান দিন দিনই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে এর উল্টো চিত্র।
ভিডিওতে দেখা যায়, দা হাতে ওই নারী ছাদের টবে লাগানো গাছ একে একে কেটে ফেলছেন। তার সেই কাজে সহায়তা দিচ্ছে একদল বখাটে প্রকৃতির সন্ত্রাসী। এক তরুণীকে এসময় কাকুতি মিনতি করতে শোনা যায়। কিন্তু শত অনুরোধ, শত কাকুতি মিনতিতেও মহিলার মন গলেনি।
সুমাইয়া তার ফেসবুকের পোস্টটি সবাইকে শেয়ার করার অনুরোধ জানিয়ে লিখেছে, “আমার মা গাছ অনেক পছন্দ করে। তাই ছাদের এক কোণায় আমরা কিছু গাছ লাগাইছিলাম। আর এই মহিলা আমাদের সাথে শত্রুতা করে আমাদের লাগানো গাছগুলা কেটে ফেললো।
এই বিল্ডিং এ আমরা দুটা ফ্লাট কিনেছি। সবাই যার যার ক্রয়কৃত ফ্লাটে থাকে। ছাদে সবারই অধিকার আছে। আমরা আমাদের অধিকার থেকে কিছু গাছ লাগিয়েছি ছাদের একটা কোণায়। কারণ আমরা ভাবতেও পারি নি মানুষ গাছ অপছন্দ করতে পারে। গাছ তো সৌন্দর্য বাড়ায়।
আর তারা বলে আসছে আমাদের গাছ নাকি ছাদের পরিবেশ নষ্ট করে দিছে। তারা অকারণে অন্যায়ভাবে আমাদের জীবন্ত এবং ফল ধরন্ত গাছগুলি কেটে ফেললো। আবার তার ছেলে ১০/১২ জন মাস্তান নিয়ে আসছে আমাদের ওপর হামলা করার জন্য।
আমাদের একটাই অপরাধ- আমরা গাছ ভালোবাসি। তাই শখ করে গাছ লাগিয়েছিলাম। আমরা তো অন্যের জায়গায় গাছ লাগাই নাই। আমরা আমাদের অধিকার থেকে গাছ লাগাইছিলাম। আমার মা এই গাছগুলিরে নিজের সন্তানের মতো যত্ন করে। আমরা গাছগুলোকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতাম।
তার প্রশ্ন, “মানুষ কীভাবে এতটা নিচে নামতে পারে??? গাছ তো তাদের কোনো ক্ষতি করে নাই। পুরা ছাদই তো ফাঁকা। এই মাগরিবের আযানের সময়, ওনার মাথায় সুন্নতি হিজাব। কীভাবে পারলো এই ধরন্ত গাছগুলি কেটে ফেলতে???”
সে ওই মহিলার স্বামী এবং ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে লিখেছে, “উনার স্বামী ও ছেলে আমাদের সাথে বহুত খারাপ ব্যবহার করে। এর হয়তো কোনো বিচার হবে না। তবে আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আল্লাহই বিচার করবে।”