৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে এবং ২১ অক্টোবরের ব্যাক ডেটে রেজিস্ট্রি করে ছেড়ে দেয়া হয়।
রংপুরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এপিবিএন-এ কর্মরত এএসপি কামরুল হাসানকে তরুণীসহ আটক করেছে পুলিশ। রংপুর মহানগরীর বনানীপাড়ার এক বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এরপর গভীর রাতে তাদের ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায়। অভিযানে এএসপি কামরুল হাসানকে নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের বনানী পাড়ার এক বাড়ি থেকে নারীসহ আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যায় তারা স্বামী-স্ত্রী। তারপর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে জেলা মহিলা পরিষদ, পরিবার ও পুলিশ নিশ্চিত করেছে, থানায় আটকের পর গভীর রাতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থ্যতায় উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে কাজী ডেকে থানার পাশে হোটেল তিলোত্তমায় তাদের বিয়ে দেয়া হয়। তবে কাজীর খাতায় রেজিস্ট্রি করা হয় ২১ অক্টোবরের ব্যাক ডেটে।
রংপুর জেলা মহিলা পরিষদের সম্পাদিকা রোমানা জামান বলেন, ওই তরুণী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানান, তার সঙ্গে এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নীলফামারীর আমজাদ হোসেনের ছেলে এএসপি কামরুল হাসানের। এরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তিন মাস আগে বনানীপাড়ার সিদ্দিক হোসেনের বাড়ির দোতালার ফ্ল্যাট সাত হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। এসময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাড়ির মালিককে বলে আমার স্ত্রী এখানে থাকবে। আমি বাইরে চাকরি করি। মাঝে মাঝে আসবো। এভাবে রাজশাহীতে ট্রেনিং থাকা অবস্থায় ওই বাসায় এসে তার সঙ্গে থাকতো ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এরই মধ্যে ওই তরুণী বিয়ের জন্য তাকে চাপ দিলে কামরুল হাসান বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যেতেন। পরে মেয়েটি আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করে এর প্রতিকার চান।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আলতাফ হোসেন ও উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি থানা দেখছে বলে এড়িয়ে যান। এর বেশি কিছু বলতে চাননি কেউই।