বুধবার সকালে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের টয়লেটে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন আরিফ হোসেন নামে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এ এস আই) ও বিচারপ্রার্থী এক নারী।
জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে পুলিশ বিভাগে কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আরিফ হোসেন চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মহজমপুর গ্রাম থেকে আগত বিচারপ্রার্থী এক নারীর সঙ্গে জেলা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় বাথরুম থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে উপস্থিত জনতা। পরে তাদের দু’জনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)র কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সময় ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজ মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে কর্মরত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনস্-এ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুুবর রহমান।
এদিকে এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত পরিদর্শক (অপরাধ) নাজমুল হককে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পুলিশ সুপারের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত জমা দেবেন তিনি।
পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তদন্তে পুলিশ সদস্য আরিফ হোসেন দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, কারো ব্যক্তিগত দায় পুলিশ বহিনী নিতে পারে না।
এদিকে, ঘটনার পরপরই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন মামুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আদালতে ছুটে যান। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সহায়তায় আটক পুলিশ ও নারীকে নিজেদের হেফাজতে নেন। পরে তাদের জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। একপর্যায়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আরিফ হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনস্-এ প্রত্যাহার এবং নারীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই নারীর সঙ্গে তার স্বামী শরীফ গাজীর মামলা চলমান রয়েছে। শরীফ গাজী তার বিরুদ্ধে ২’টি মামলা করেছে। ওই নারীও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ১টি মামলা করেছে। বুধবার স্বামীর করা একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন তিনি।