শনিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্ত আকাশ আয়োজিত ‘নিরাপদ ও টেকসই নগর গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘অপরাধ দমনে আমরা ‘সেভ ঢাকা সিটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। এতে অপরাধী শনাক্ত হবে। ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট ও গাড়ির গতিবিধি নজরদারির মধ্যে থাকবে।’
তিনি বলেন, দেশে প্রতিদিন ১১০০ দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বিদেশিদের বলি আমাদের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও গুরুত্বপূর্ণ। তবে গুজব যাতে না ছড়ায় সেটাও দেখতে হবে। দেশবাসীকে বলব, আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা দেখবেন, নিজের কাছেই প্রশ্ন করবেন, এটা কী হতে পারে, ঘটতে পারে? গণমাধ্যমও এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, টেকসই নগরীর জন্য নিরাপত্তার কথা আসছে। এজন্য আমরা অপরাধ দমনে সেভ ঢাকা সিটি প্রজেক্ট হাতে নিচ্ছি। এতে অপরাধী শনাক্ত হবে। ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট ও গাড়ির গতিবিধি নজরদারির মধ্যে থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা চাই নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। এজন্য প্রতিটি গ্রামকে শহর করার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর অর্থ প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে দিতে হবে শহরের সুবিধা। তবেই শহরমুখী থাকবে না মানুষ। এজন্য প্রকৌশলীদেরও চিন্তা করতে হবে।
মুক্ত আকাশের উপদেষ্টা সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন রাজউক চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির সভাপতি মো. মোস্তফা-ই-জামিল, মুক্ত আকাশের সম্পাদক মো. শামসুল আলম, প্রকৌশলী শেখ মো. আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. একেএম আবুল কালাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, টেকসই নগরের জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতি জোর দেন তারা। একইসঙ্গে গণমাধ্যমে যেন ভালো উদ্যোগগুলো উঠে আসে এর প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। বলেন, সরকারের লোকবল তেমন নেই। তাই গণমাধ্যমই হতে পারে তাদের চোখ। তাই ভালোটা যেন আরও ভালোর পর্যায়ে যায় এবং ঘাটতিটা যেন ধরা যায়, তেমন ভূমিকা রাখা প্রয়োজন গণমাধ্যমের।
অনুষ্ঠানে সাত প্রথিতযশা প্রকৌশলী ও স্থপতিদের সম্মাননা দেওয়া হয়। তারা হলেন- মো. ইব্রাহীম, ড. আইনুন নিশাত, ড. দিল আফরোজ বেগম, সালেহ মোস্তফা কামাল, স্থপতি তানউইর নেওয়াজ, আব্দুস সালাম ও ড. মো. শহীদুল আমিন। সম্মাননাপ্রাপ্তদের স্মারক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।