অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জি কে শামীম ও খালেদ ভূঁইয়াকে ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মামুন শুনানি শেষে এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে দুর্নীতি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৩ অক্টোবর বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম এবং যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।
এর আগে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জিকে শামীমকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ।
এর আগে ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
অন্যদিকে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধেও ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার মামলা করেছে দুদক।
উল্লেখ্য, সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আটক করা হয় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা আরও দুটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে ৫৮২ পিস ইয়াবা জব্দ করে র্যা ব।
এ ছাড়া তার বাসার শোকেস থেকে ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা সমমূল্যের মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়।
এর পর গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ কার্যালয় জিকে বিল্ডার্স ভবন থেকে জিকে শামীমকে আটক করে র্যাব। এর আগে ভোরে তার সাত দেহরক্ষীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। জিকে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেক ও ১০ কোটি নগদ অর্থসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ ও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।