ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুরে ময়না খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী জাকির হোসেনসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগে উঠেছে।
হত্যার অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার সকালে নিহত গৃহবধূর বড় ভাই আশরাফ আলী হরিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ সকাল ১১টায় হরিপুর উপজেলা হাসপাতাল থেকে ময়না খাতুনের লাশ উদ্ধার করেন। পরে লাশ শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত করার জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ময়না খাতুন হরিপুর উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের জয়নালের ছেলে জাকির হোসেনের স্ত্রী এবং পীরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল কাদেরের মেয়ে।
ওই গৃহবধূর বড় ভাই আশরাফুল আলী বলেন, পারিবারিকভাবে ২০০৪ সালে আমার বোন ময়না খাতুনের হরিপুর উপজেলার জয়নালের ছেলে জাকির হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ময়না তাঁর স্বামীর সংসারে ভালোই চলছিল। পরে জাকির হোসেন মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ে।
জাকির হোসেন মাদক সেবনে আসক্ত হওয়ার পর থেকেই আমার বোন ময়না খাতুনকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। স্ত্রী নির্যাতনের কারণে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ বৈঠকও হয়। এছাড়াও জাকির হোসেন দিনাজপুরের সুরভী নামে এক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে
এক পর্যায় জাকির হোসেন ঐ মেয়েকে কিছুদিন আগে আমার বোনের অজান্তে বিয়েও করে ফেলে। এই ঘটনাটি নিয়ে স্বামী স্ত্রী মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। মূলত এই দ্বন্দ্বের জের ধরেই আমার বোন ময়না খাতুনকে স্বামী জাকির হোসেনসহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন রাত্রে কয়েক দফা মারপিট করেন। পরে হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর লাশ ফেলে রেখে স্বামী জাকির হোসেন পালিয়ে যায়।
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুজ্জামান বলেন, নিহতের বড় ভাইয়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি হত্যা মামলা রজু করা হয়। পরে গৃহবধূ ময়নার লাশ হরিপুর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই প্রকৃত ঘটনা বের হবে। অপরদিকে এজাহারকৃত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।