গাজীপুরের শ্রীপুর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় চলন্ত বাসে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে চালকের দুই সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে মাওনা মহাসড়ক থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. মঞ্জুরুল হক জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়া থানার আমড়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে জুয়েল (২৮) ও নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার চন্দনকান্দি গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে আশিক (২২)।
তারা দুজনই ওই বাসের চালকের সহকারী। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই মেয়েটির বাদী হয়ে চালকসহ শ্রীপুর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মেয়েটির দায়েরকরা অভিযোগ এর ভিত্তিতে ওসি বলেন, মেয়েটি ঢাকার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে রাজেন্দ্রপুরে যাওয়ার জন্য চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি লোকাল বাসে ওঠে। কিছুদূর যাওয়া পর চালক ও তার দুই সহকারী বাসে সমস্যার কথা বলে কৌঁশলে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়।কিন্তু বাসের চালক মেয়েটিকে জানায় যে, তাদের সমস্যা থাকলেও তারা গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।
পরে বাসটি মেয়েটি যাত্রীকে গন্তব্যে না নামিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর উপরে যায়। সেখানে চালক ও তার দুই সহকারী মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি পা দিয়ে বাসের জানালার কাচ ভেঙ্গে ফেলে এবং চিৎকার শুরু করে।
পরে স্থানীয় পথচারীরা বিষয়টি টের পেয়ে মাওনা হাইওয়ে পুলিশকে জানালে তারা গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং দুই পরিবহন শ্রমিককে আটক ও বাসটি জব্দ করে বলে এ পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান। সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে চালক হারুন মিয়া পলাতক রয়েছন; তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।