বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে নামার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। তবে পেঁয়াজ ১০০ টাকার নিচে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই। এ মাসের শেষের দিকে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমবে। তার আগে হয়তো সম্ভব হবে না।’
শুক্রবার সকালে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে ইটভাটা মালিকদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ভারত থেকে আমরা মূলত পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। সেখানেই পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে। আমাদের দেশে আসার পর তা ১০০ টাকা দর পড়ে যাবে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আপাতত কোনো লাভ হবে না।
মিশর থেকে পেঁয়াজ আসার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার কথা। সেটা আসলেও দাম একটু কমতে পারে বলে মনে হয়।’
পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং নিয়ে টিপু মুনশী বলেন, পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করার জন্য মন্ত্রণালয়ে একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি সেটি দেখভাল করবেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার ৫ই নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি পাইকারি পর্যায়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম ৫৫-৬০ টাকা দরে এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশনা দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে পেঁয়াজের মুল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি ও বাজার অস্থিতিশীল করছে এমন ১৫ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট এর তথ্যও জানা যায়।
এমন তথ্য ও নির্দেশনার ২ দিন পরই বানিজ্য মন্ত্রী জানালেন, পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে নামার সম্ভাবনা নেই।