রংপুরের পীরগাছায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে পিকআপ চাপা দেওয়ায় ছাত্রীর মৃত্যু ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রীর নাম খাদিজা বেগম (১৫)।
শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রংপুর-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক সকাল ৮টা থেকে অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তাঁরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ঘাতক চালকের বিচারসহ ওই সড়কে গতিরোধক নির্মাণের দাবিতে সড়কটি অবরোধ করে রেখেছে।
নিহত শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম সৈয়দপুর গ্রামের খায়রুদ্দিনের মেয়ে ও সৈয়দপুর কারামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন স্থানে এই সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন স্থানে সড়কের পাশে শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পীরগাছা থেকে রংপুরগামী একটি পিকআপ ওই শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সকাল ৮টা থেকে সৈয়দপুর বাজার এলাকায় রংপুর-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। ওই সড়কে গতিরোধক নির্মাণের দাবিতে অবরোধে যোগ দিয়েছে সৈয়দপুর কারামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কারামতিয়া দ্বিমুখী ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক ও এলাকাবাসী। ফলে ওই সড়কের উভর পাশে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়েছে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন প্রধান ও পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবার সাথে আলোচনা করছেন। পীরগাছা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।