সোমবার ( ১৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এলডিপির পদবঞ্চিত নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে অলি আহমেদ এবং রেদোয়ান আহমেদদের বিপরীতে ৭ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি ঘোষণা হয়। এলডিপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম এই কমিটি ঘোষণা করেন। সমন্বয় কমিটির সভাপতি হিসেবে আবদুল করিম আব্বাসীর নাম ঘোষণা করা হয় এবং সদস্য সচিব সেলিম।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এলডিপি)। গত ৯ নভেম্বর কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত অলি আহমেদ কে সভাপতি এবং ডক্টর রেদোয়ান আহমেদ কে নিয়ে এলডিপির নতুন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা হয়। এই কমিটি থেকে বাদ পড়েন দলটির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। এরপর থেকেই মূলত দলটির মধ্যে ভাঙ্গনের সুর বেজে ওঠে। আজ তা চূড়ান্ত রূপ পেল।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম বলেন,গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া সরকারের রোষানলে পড়ে কারাবন্দি রয়েছেন। তাকে মুক্ত করার জন্য যখন দল-মত-নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ার দরকার তখন নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার জন্য একটি পক্ষ তৎপর হয়ে উঠেছে।এর মধ্যে কর্নেল অলি সাহেব তার এক বক্তব্যে পুরো বিএনপি’র নেতৃত্বকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তার এই বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় এবং তারেক রহমান দেশের বাইরে থাকায় বিএনপির নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ভেঙে এলডিপি গঠন করে যে পাপ করেছি তার প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যদি আমাদের আমন্ত্রণ জানায় তাহলে আমরা এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যুক্ত হবো
একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যেখানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখার প্রয়াস চালাবেন সেখানে জোটের মধ্যে বিভেদ তৈরীর জন্য জাতীয় মুক্তি মঞ্চ তৈরি করেছেন। শুরুতে মুক্তি মঞ্চকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আলাদা প্ল্যাটফর্ম বলা হলেও ধীরে ধীরে তার জিয়া পরিবার আর বিএনপি’র বিষোদগার করার প্লাটফর্মে পরিণত হয়।বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বকে বিতর্কিত আর দুর্বল করার চেষ্টা ষড়যন্ত্র শুরু করে যা আমাদের মত জাতীয়তাবাদী আদর্শের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় কোন দলের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়ানো আমাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়েছে।