বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদের বিরুদ্ধে ককপিটে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন একজন নারী বিমান বালা(কেবিন ক্রু)। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন। তিনি আরও জানান, তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ইশরাত গত ছয় বছর ধরে এই নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন বলে ওই কেবিন ক্রু অভিযোগ করেছেন। সর্বশেষ গত ২৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আবুধাবিগামী ফ্লাইটে সংঘটিত একটি নিপীড়নের ঘটনার বর্ণনা দেন তার অভিযোগ পত্রে।
অভিযোগে তিনি লিখেন, “কেবিনে দায়িত্ব থাকলেও ক্যাপ্টেন ইশরাত কেবিন ক্রু ইনচার্জকে নির্দেশনা দিয়ে তাকে ককপিটে ডেকে নেন।”
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করেন- ‘বিজনেস ক্লাসের কেবিনে দায়িত্ব থাকার কারণে ক্যাপ্টেন ইশরাত কেবিন ক্রু ইনচার্জকে নির্দেশনা দিয়ে তাকে ককপিটে ডেকে নেন। কো-পাইলট ক্যাপ্টেন অরবিন্দ ককপিটের বাইরে গেলে, তিনি তার শরীরে হাত দেয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তিনি তার ট্যাব বের করে তাকে নারীদের নগ্নছবি দেখানোর চেষ্টাও করেন।’
‘ছয় বছরে যখনই তাকে ফ্লাইটে পেয়েছেন, তখনই এমন আচরণ তিনি করেছেন। আমি ধৈর্য ধরে সহ্য করেছি, ভেবেছি সময় গেলে তিনি এসব বন্ধ করবেন। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, তার এমন আচরণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ফ্লাইটে তিনি সীমা অতিক্রম করেছেন। এমনকি তিনি আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, তার অসৌজন্যমূলক ও নোংরা প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি আমাকে বিপদে ফেলবেন, সেটা যে করেই হোক।’
তবে কোনো কেবিন ক্রুর সঙ্গে কোনো ধরনের যৌন হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ক্যাপ্টেন ইশরাত। তিনি বলেন, বিমানের পাইলট ও কেবিন ক্রুরা একই পরিবারের সদস্য। পাইলটদের সঙ্গে কেবিন ক্রুদের বন্ধুর মতো সম্পর্ক। কাজেই কোনো কেবিন ক্রুর সঙ্গে ককপিটে খারাপ আচরণের প্রশ্নই আসে না। তিনি মনে করেন, তার পেশাগত সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়েই তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে।