রবিবার ১৭ নভেম্বর হায়দরাবাদের এক ক্রিকেটারের মৃত্যুর ঘটনায় স্তম্ভিত ভারতীয় ক্রিকেটমহল থেকে গোটা দুনিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীরা। মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অখুশি হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে মৃত্যু হয়েছে আলোচিত ক্রিকেটার বীরেন্দ্র নায়েকের। তার বয়স হয়েছিল ৪১ বছর।
মারদপল্লী স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে স্থানীয় ওয়ানডে লিগে এদিন মাঠে নামেন বীরেন্দ্র। ব্যাট হাতে ঝকঝকে ৬৬ রানের ইনিংসও খেলেন তিনি। কিন্তু এর পর এমনকি ঘটল? যে জন্য মাত্র একচল্লিশেই ঝরে যেতে হলো তরতাজা প্রাণকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, অর্ধশত রান করলেও আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় বীরেন্দ্রকে। যে কারণে খুশি হতে পারেননি তিনি। ড্রেসিংরুমে ফিরেই হার্টঅ্যাটাক হয় তার। এর পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ক্রিকেটার। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গাড়িতে করে সেকেন্দ্রাবাদ হাসপাতালে নিয়ে যান সতীর্থরা। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
ক্রিকেটারের পরিবার জানায়, হৃদযন্ত্রে বরাবরই সমস্যা ছিল বীরেন্দ্রর। এ জন্য নিয়মিত ওষুধও খেতেন তিনি। খেলার দিন আউট হওয়ার পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েন ক্রিকেটার। এতে তার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যায়।
সতীর্থরা জানান, ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করে প্রথমে একরাশ হতাশাও ছুড়ে দেন বীরেন্দ্র। এর পরই তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়ে এমন মৃত্যুর ঘটনা ক্রিকেটবিশ্বে বিরল। এটি বলার অপেক্ষাও রাখে না। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে- হৃদযন্ত্রে সমস্যা নিয়েও এভাবে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়াটা কতটা যুক্তিসঙ্গত ছিল? তাই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অখুশি হয়েই মৃত্যু নাকি পেছনে অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা রয়েছে, প্রশ্ন দানা বাঁধছে।