বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ফজলে শামস পরশ। একইসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাইনুল হোসেন খান নিখিল। আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের (সম্মেলন) কাউন্সিল অধিবেশনে তাদের নির্বাচিত করা হয়।
দলের কাউন্সিল অধিবেশনে চেয়ারম্যান পদে শেখ ফজলে শামস পরশের নাম প্রস্তাব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম। সমর্থন করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।
মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি এবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা নির্বাচিত হলেন। সাধারণ সম্পদক পদে সাতজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে সাধারণ সম্পাদকের নাম চূড়ান্ত করার জন্য ২০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। তবে সমঝোতা না হওয়ায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার মতামত অনুসারে নিখিলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
শেখ ফজলে শামস পরশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কালরাতে শেখ ফজলে শামস পরশের বাবা-মাও শহীদ হয়েছিলেন। তার ছোট ভাই ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা-১০ আসনের এমপি।
পরশ গত ১০ বছর রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকেও ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন পরশ।
অন্যদিকে নিখিল এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ যুবনেতা বৃহত্তর লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে জড়ান।
পরে মিরপুরে ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে মহানগর ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেন। ধার্মিক ও পরোপকারী ব্যক্তি হিসেবে তার ক্লিন ইমেজ রয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস (সম্মেলন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় এ কংগ্রেস উদ্বোধন করেন তিনি। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের শুরু হয়। পরে পায়রা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।