গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হত্যার আড়াই মাস পর সেপটিক ট্যাংক থেকে ফরিদা বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার চান্দরা খাজারড্যাগ এলাকায় একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মুনসুর আলী, তার প্রথম স্ত্রী রেখা বেগম, ছেলে স্বপন মিয়া এবং সেপটিক ট্যাংকের বাড়ির মালিকের স্ত্রী খোদেজা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত ফরিদা বেগম পাবনার আতাইকুলা থানার শ্রীপুর গ্রামের মুনসুর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী। মনসুর চান্দরা খাজারড্যাগ এলাকার মরহুম আতাবউদ্দিন দেওয়ানের বাগানবাড়ির কেয়ারটেকার।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, আড়াই মাস আগে আতাবউদ্দিন দেওয়ানের বাড়ির কেয়ারটেকার মুনসুর তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেফটি ট্যাংকে লুকিয়ে রেখে তার স্ত্রী অন্যের সাথে চলে গেছে বলে অপপ্রচার চালায়।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত ফরিদার বোন গত ৪ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তার দু’দিন পর মুনসুরের প্রথম স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করে।
এরপর মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া দীঘিরপাড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে মুনসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের সহযোগী সন্দেহে বাড়ির মালিক খোদেজা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
মুনসুরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সকালে সেপটিক ট্যাংক থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।