হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি তাঁর সন্তুষ্টির কথা জানান।
তিন বছর আগে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজকের রায় প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর যেসব মামলা দেশের শিকড়ে ধাক্কা দেয়, সেটা শেষ করতে পারছি, সেটাই সন্তুষ্টির কারণ।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বে প্রমাণ করেছি যে এ রকম ঘটনার দ্রুত বিচার হয়।’
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ। আর খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
আসামি মিজানের খালাসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এখনো তিনি রায়টা পড়েননি। রায় দেখার পর ওই আসামির খালাসের বিষয়ে আপিল করার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত জঙ্গির কারও মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। বরং আদালতকক্ষ থেকে বের করার সময় তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান মাথায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীকসংবলিত টুপি পরে ছিলেন। এরপর আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলার পর আরও এক জঙ্গিকেও কালো কাপড়ে তৈরি একই রকম টুপি পরতে দেখা যায়। ওই জঙ্গির নাম জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী।
আসামির টুপি পরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আজ এক আসামির আইএসের টুপি পরা অবস্থায় আদালতে নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত হওয়া উচিত। এই সংবাদ সম্মেলন শেষ করে তিনি এ তদন্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।