ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সারা জেলায় তোলপাড় চলছে। গেল তিন দিন ধরে চলছে এর তদন্ত।সরকারি চালান, নকল তল্লাশি, রেজিস্ট্রি ফিসহ নানা খাতের অন্তত সাড়ে চার কোটি টাকা লোপাটের ধারণা পাওয়া গেছে। সরকারি অর্থ লোপাটের সঙ্গে রেজিস্ট্রি অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও অফিস সহায়ক জড়িত বলে জানা গেছে।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানিয়েছে, বুধবার থেকে তদন্ত শুরু হওয়ার পরই ধরা পড়ে অর্থ তসরুফের বিষয়টি। ঠিক কি পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে তা এখনও কেউ নিশ্চিত করতে বলতে পারছেন না।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪০-৪৫ লাখ টাকার অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তদন্ত শেষ হলে মোট কত টাকা আত্মসাৎ হয়েছে তা জানা যাবে। সাব রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনা তদন্তে মিতেন্দ্র নাথ শিকদারের নেতৃত্বে অডিট কার্যক্রম চলছে।এদিকে অফিস সহায়ক ইয়াছিন গেল দু’দিন ধরে লাপাত্তা রয়েছে বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে। ইয়াছিনকে না পেয়ে তার পরিবার ও স্বজনদের বৃহস্পতিবার দিনভর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার ব্যবহৃত মোবাইলও বন্ধ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নানা অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে।
সাধারণ মানুষদেরকে দলিল জমি-জমা রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।অডিট কর্মকর্তা মিতেন্দ্র নাথ শিকদার জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। আমরা তদন্ত করে আইজিআর এর কাছে রিপোর্ট দেব।