টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম ও কনস্টেবল রাসেলুজ্জামান ও গোপাল সাহা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তারা সখীপুরে বজলুর নামে এক ব্যাক্তির পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন।
এ ঘটনায় পুলিশের ওই তিন সদস্যসহ পাঁচজন ও দুই সোর্সকে আসামি করে সখীপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। সখীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আইনুল হক বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে মামলাটি করেন।
সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে সখীপুর থানা পুলিশের ওফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আমীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছের এরই মধ্যে আটক তিন পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সখীপুরের হাতিবান্দা ইউনিয়নের হতেয়া ভাতকুড়াচালা গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে বজলুর রহমান তাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে চার কনস্টেবল ও দুই সোর্স সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে এসে বজলুর পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেন। তাকে আটক করে ফাঁড়িতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। একই এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া ঘটনাটি দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে রাজাবাড়ি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে স্থানীয় লোকজনকে জানান। পরে স্থানীয় জনতা পুলিশ সদস্যদের সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও জনতার মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে।
তারা পুলিশ সদস্যদের আটক করে রাজাবাড়ি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাদের মারপিট করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। এ সময় পুলিশের দুই কনস্টেবল ও এক সোর্স পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মির্জাপুর সার্কেল, মির্জাপুর থানা, বাঁশতৈল ফাঁড়ি ও সখীপুর থানা পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাত ৯টার দিকে তাদের উদ্ধার করে সখীপুর থানায় নিয়ে যায়।