বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতায় দেশবাসী উদ্বিগ্ন, তার জামিনের বিষয়ে পুরো জাতি উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে। তার জামিনে বাধা দিয়ে ও চিকিৎসা না দিয়ে তাকে গুরুতর শারীরিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দেওয়া সরকারের অশুভ পরিকল্পনারই অংশ বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, তারা বিশ্বাস করেন; উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন। খালেদা জিয়া দেশের সিনিয়র সিটিজেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুই বারের বিরোধী দলীয় নেতা ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শীর্ষ রাজনীতিবিদ। তার জামিন পাওয়া ন্যায়সঙ্গত অধিকার।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানিয়ে বিএনপিপন্থি পেশাজীবী সংগঠন ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি করবেন। তার শারীরিক অবস্থার সবশেষ প্রতিবেদন দিতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৭৫ বছর বয়সী দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা এতো ভয়ঙ্কর যে, এই মুহূর্তে তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে জীবনহানীর চরম ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুচিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার যে ক্ষতি হচ্ছে, সেটা আর ফিরে আসবে না বলে চিকিৎসকরা বলেছেন। তার বাম হাত ও শরীরের বাম দিক প্রায় প্যারালাইজড হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারও সাহায্য ছাড়া তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। গত ২৫ দিন ধরে খালেদা জিয়ার সাথে তার স্বজনরা সাক্ষাত পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ড্যাবের মহানগর উত্তরের সভাপতি ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম লিখিত বক্তব্যে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভীষন অসুস্থ এবং যথাযথ চিকিৎসা না পেলে যেকোনো সময় তার শারীরিক স্থায়ী পঙ্গুত্ব এবং ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ জনিত বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সম্পূর্ণরুপে সরকারের, সংশ্নিষ্ট চিকিৎসকবৃন্দ ও সরকারকেই বহন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, ব্যারিস্টার মীর হেলালউদ্দিন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ড্যাব) সহ-সভাপতি ডা. আবদুস সেলিম, মহানগর উত্তর ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মাসুম বিল্লাহসহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।