শিক্ষক আরিফুল স্কুলের ও স্কুলের বাইরে করেছেন ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ
তাঁর মুঠোফোন, ল্যাপটপ থেকে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার
ধর্ষনের ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে একাধিক ছাত্রীর মাকেও করেছেন ধর্ষন
আদালতে দিয়েছেন এই সকল অপকর্মের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীও
নারায়ণগঞ্জে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে পুলিশ আবারও দুই দিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে। রোববার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে তাঁকে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত দুই দিন মঞ্জুর করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, আসামি ও তাঁর সহযোগীদের নাম ঠিকানার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন নির্যাতনের শিকার অক্সফোর্ড হাইস্কুলের এক ছাত্রীর বাবা এবং র্যাব বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি ও ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। অপকর্মে মদদ দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলামকে (৫৫) গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরিফুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়ার অক্সফোর্ড হাইস্কুলের গণিত ও ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে গত ৮ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুন এক ছাত্রীকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন আরিফুল। ২৭ জুন সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর পরিবার ও এলাকার লোকজন আরিফুলকে পিটুনি দিয়ে বিষয়টি র্যাবকে জানায়। এরপর র্যাব আরিফুল ইসলাম ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক জুলফিকারকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২রা জুলাই স্কুলশিক্ষক আরিফুল ইসলাম ছাত্রীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছেন।
শিক্ষক আরিফুলের মুঠোফোন, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইসে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও পাওয়া যায়। সেময় জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানিয়েছেন, তিনি পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া এবং ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৫ বছরে স্কুলের ও স্কুলের বাইরে ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের ওই ভিডিও ধারণের পর তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে কয়েক ছাত্রীর মাকেও ধর্ষণ করেন।