কুয়েতে অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দেশটির এক নারী ব্যবসায়ীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেখানকার বিচার বিভাগ। বৃহস্পতিবার ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুই হাজার দিনার জামানতে জামিন দেওয়া হলেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ওই নারী ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। খবর আরব টাইমসের।
স্থানীয় গণমাধ্যম আল-সেয়াস্সাহ জানিয়েছে, ঘুষ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই নারী ব্যবসায়ীকে। পরে দুই হাজার দিনার জামানতে তাকে জামিন দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, যাতে তিনি দেশত্যাগ করতে বা বিদেশ পালিয়ে যেতে না পারেন।
কুয়েতের শীর্ষস্থানীয় একটি হোম ডেকর (গৃহসজ্জা ও আসবাব) কোম্পানির মালিক ওই নারী ব্যবসায়ী।
কোম্পানিটি সরকারি কাজের কন্ট্রাক্ট পেয়ে থাকে। ওই নারী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এমপি পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ ও অর্থ পাচারের মতো দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন এক কুয়েতি কর্মকর্তা ওই নারীর ভাই। এ নিয়ে ওই কর্মকর্তাসহ তিনজনকে এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দেশটির সরকারি কৌসুলীরা।
সূত্র জানায়, ওই নারীর কাছে বাংলাদেশি এমপি পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও লেনদেনের হিসাব চেয়েও সমন জারি করা হয়েছে। তবে ওই নারীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার আইনজীবী মোহামেদ তালিব। তিনি দাবি করেছেন, ‘তার মক্কেল সম্পূর্ণ নির্দোষ। ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুল গত ৬ জুন রাতে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন। পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। আটকের পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৬ জুলাই পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন হতে পারে