আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সংগঠনের ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সততা-নিষ্ঠা ও লক্ষ্য স্থির রেখে যারা নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে, তারাই সফল ও বড় হবে, দেশকে কিছু দিতে পারবে। আর যদি ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সার দিকে নজর চলে যায় হয়ত তারা ভোগ করতে পারবে, কিন্তু দেশ ও জনগণকে কিছু দিতে পারবে না, নিজেরাও সফল হতে পারবে না। আর জ্ঞান ও শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ, কেউ কোনদিন তা কেড়ে নিতে পারবে না।
সোমবার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংগঠনটির আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগদান করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদদের আদর্শ থাকা দরকার। সৎ পথে থাকলে সবকিছু অর্জন করা যায়। আর মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের মানুষ গৃহহীন থাকবে না, প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালব। বিজয়ী জাতি হিসেবে বাঙালী জাতি বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলবে। দেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ আমরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু জিয়াউর রহমানই নয়, খালেদা জিয়াও একই কাজ করেছে। ছাত্রলীগের হাতে আমি খাতা কলম তুলে দিয়েছিলাম। কারণ খালেদা জিয়া ছাত্রদলকে বলেছিল তাদের হাতে নাকি আওয়ামী লীগের বিনাশ ঘটবে। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করবে অর্থাৎ তারা দিয়েছে অস্ত্র। এটা জিয়াউর রহমানেরই নীতি ছিল। আমাদের বহু মেধাবীদের হাতে অস্ত্র আর অর্থ তুলে দিয়ে তাদের বিপথে পরিচালিত করেছিল। কাজেই আমরা চেয়েছি শিক্ষা। কারণ শিক্ষা ছাড়া একটা জাতি উন্নত হতে পারে না।
৭৫ পরবর্তী হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে অস্ত্র-অর্থ দিয়ে ছাত্রদের বিপথে চালিত করার জন্য জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান খুনী, স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরের গণহত্যাকারীদের ক্ষমতা পরিচালনা করে, এদের ক্ষমতায় বসায়। এরা ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতেই ব্যস্ত ছিল, দেশের জন্য কোন কিছু করার ইচ্ছাও তাদের ছিল না। বরং তাদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দিতে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে, ষড়যন্ত্র যে থেমে গেছে তা একদম ঠিক না। আর যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছিল জিয়াউর রহমান সেই আদর্শকেই ধ্বংস করতে চেয়েছিল।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ’৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। অনুষ্ঠানে সাফল্যে ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগের দীর্ঘ ৭৩ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ছাত্রলীগের রক্তদান কর্মসূচীরও উদ্বোধন করেন।
মাতৃভাষা থেকে স্বাধীনতা এবং পরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে সংগঠনটির সাবেক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোন কিছু অর্জন করতে হলে এবং যে কোন আন্দোলন সফল করতে হলে শক্তিশালী সংগঠন দরকার। আর এ কারণেই ১৯৬৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ গ্রহণ করেছিলেন। আমিও সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে বেশি মনোযোগ সবসময় দিয়েছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে এখন ভিন্নভাবে দেখে। যারা এক সময় বলত বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও কিছুই করতে পারবে না, বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুড়ি। তারাই এখন বাংলাদেশকে ভিন্ন চোখে দেখে। বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেলের স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনার কারণে হয়ত আমরা একটু থমকে গেছি। কিন্তু করোনার মধ্যেও আমরা দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তবে করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করা হচ্ছে। আমাদের দেশে যেন দুর্ভিক্ষের ছায়া না পড়তে পারে সেজন্য কৃষি উৎপাদনের চাকাকে সচল রাখতে হবে, দেশের এক ইঞ্চি মাটিও যেন অনাবাদি না থাকে- সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখবে।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসের কথা তুলে ধরে বলেন, আদর্শ নিয়ে নিজেকে যে গড়ে তুলতে পারবে সেই সফল হবে, আর যদি অর্থ সম্পদের দিকে নজর চলে যায় সে কখনও সফল হতে পারবে না, ভোগ বিলাস করতে পারবে; এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। কাজেই জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে নিজেদের গড়ে তোল, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হও এবং ছাত্রলীগ বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সেই ঐতিহ্যের কথা মনে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে। এটা আমি চাই।
করোনাকালীন দুঃসময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংগঠনটাই হচ্ছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। করোনা মহামারীর সময়ে ছাত্রলীগ অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। ধানকাটা, মানুষের সৎকার-দাফনসহ যখনই যে কথা বলেছি তারা সেটা করেছে। আর ছাত্রলীগ সব সময় অগ্রগামী দল। তারাই মানুষকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে যায়। এজন্য ছাত্রলীগের বয়সও আওয়ামী লীগ থেকে এক বছরের বড়, এটাও ঠিক। সেক্ষেত্রে ছাত্রলীগ দেশের দেশের সব কর্মকাণ্ডে অগ্রগামী দল হিসেবেই কাজ করে।
‘কোন কাজই ছোট নয়’- এটি ছাত্রলীগ দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন কাজই অবহেলার নয়, কোন কাজ ছোট নয়। আমরা ভাত খাই, খাবার খাই, আর ফসল ফলায় আমাদের কৃষক। সেই কৃষককে তো অবহেলার চোখে দেখার নয়। তারাই তো আমাদের বেঁচে থাকার রসদ জোগায়। তাদের সম্মান অনেক বড়। আজকে যেমন তোমরা (ছাত্রলীগ) দুঃসময়ে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে ধান কেটে বাসায় তা পৌঁছে দিয়েছ। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগের ছেলেরা এটাই প্রমাণ করেছে যে, কোন কাজকে তোমরা ছোট করে দেখ নাই।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘সবাইকে বলব গ্রামে যখন যাবে কাউকে ছোট করে দেখবে না। কোন কাজকে ছোট করে দেখবে না। সব কাজেরই গুরুত্ব আছে, সব কাজেরই মূল্য আছে। এটাই মানতে হবে, এটাই দেখতে হবে। এটাই সব সময় নিজের আদর্শ হিসেবে নিতে হবে। আর বড় সেই হতে পারে যে নিজেকে ছোট করে দেখতে পারে। আর উপর দিকে তাকিয়ে চলতে গেলে হোঁচট খেতে হয়। সেজন্য মাটির দিকে তাকিয়ে চলতে হয়। এটাই আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন আমাদের বাবা-মা। দাদা-দাদিও সেই শিক্ষাই আমাদের দিয়েছেন। এটা সবাই মেনে চলবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান সকল নেতাকর্মীকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছাত্রলীগের মূল মন্ত্রই হচ্ছে শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি। শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা শান্তি চাই। এটা মাথায় রেখে ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীকে আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। প্রত্যেকে আদর্শ নিয়ে চললে বড় হতে পারবে। ধন সম্পদ যারা বানায় তারা দেশকে কিছু দিতে পারে না। করোনাকালে নিজেরাও যে তা ভোগ করতে পারে না, সেটাও প্রমাণ করে দিয়ে গেছে। মাতৃভাষা থেকে স্বাধীনতা এবং পরবর্তী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ ও রক্ত দিয়েছে ছাত্রলীগই, অন্য কেউ নয়।ছাত্রলীগকেই আগামীদিনে দেশের নেতৃত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের বয়স ৭৩, আর আমি ৭৫ বছরে পা দিয়েছি। তাই আমাদেরও বয়স হয়ে গেছে। আগামীতে ছাত্রলীগকেই এদেশের নেতৃত্বে আসতে হবে। সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। করোনাকালে মানুষের সেবার যে কাজগুলো করেছ, সেগুলো করে যাবে। আগামী দিনে তোমরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তোমাদেরই কিন্তু সামনে নেতৃত্ব দিতে হবে। সেভাবেই তোমরা নিজেদের গড়ে তুলবে। সবাই মনে রাখবে, আদর্শ, সততা ও লক্ষ্য স্থির থাকলে কোন অর্জন করা অসম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করতে নাকি তার ছাত্রদলই যথেষ্ট। শুধু খালেদা জিয়া নয়, জিয়াউর রহমানও ছাত্রদের হাতে অস্ত্র-অর্থ-মাদক তুলে দিয়ে বিপথে চালিত করেছিল। ’৭৫ পরবর্তী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর শুধু সামরিক বাহিনী নয়, আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। অনেকের লাশও পাওয়া যায়নি। ওই সময় অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়ারা ছাত্রলীগকে নিজেদের কাছে টানার চেষ্টা করেছে, যাদের পারেনি তাদের নির্যাতন করে হত্যা করেছে, লাশ পর্যন্ত গুম করে দিয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলাম বলেই ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারছি। করোনাকালেও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন অনেকেই এ নিয়ে অনেক কথা বলেছে। এখন তারা কোথায়? তারাও তো এখন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, অনেক কথা বলছে। আমরা ইউনিয়ন পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছি, নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছি। সবদিক থেকে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। এ পর্যন্ত নতুন ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে। অনেকগুলোর কাজ চলমান। আবার বেসরকারী খাতে যারা বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাচ্ছে তাদেরও সুযোগ করে দিচ্ছি। কারণ বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। যেহেতু করোনাভাইরাসের কারণে সব স্কুল কলেজ বন্ধ, আমরা চালু করতে পারছি না। যখনই চালু করতে যাচ্ছি আবার দ্বিতীয় ঢেউ চলে আসছে। সেজন্য করতে পারলাম না। তারপরেও আমার ঘর আমার বিদ্যালয় ব্যবহার করে তার মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। ছাত্রদের বলব বসে না থেকে যা পার নিজেরা কিছু পড়াশোনা কর। পাঠ্যপুস্তক তো আছেই, তাছাড়াও পড়ার অনেক সুযোগ আছে। জ্ঞান যত বেশি অর্জন করতে পার ততই নিজেকে সম্পদশালী মনে করবে, ধন সম্পদ কোনদিন কাজে লাগে না। করোনাভাইরাস একটা জিনিস শিক্ষা দিয়ে গেছে যে, যার যতই টাকা পয়সা থাকুক, যার যতই অর্থ সম্পদ বাড়ি গাড়ি থাকুক না কেন, সেগুলো যে একেবারেই ব্যর্থ, তার যে কোন মূল্য থাকে না- করোনাভাইরাস অন্তত এই শিক্ষাটা মানুষকে ভালভাবে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষা, বিদ্যা বা জ্ঞান এটা এমন একটা সম্পদ, যে সম্পদ কেউ কোনদিন কেড়ে নিতে পারবে না। এই সম্পদ থাকলে জীবনে কখনও হোঁচট খাবে না। চলার পথ মসৃণ করে এগিয়ে যেতে পারবে। আমাদের ছেলে মেয়েদের আমি সেই শিক্ষাই দিয়েছি। কাজেই তোমরাও সেই শিক্ষা নেবে। ছাত্রলীগের সেটাই কাজ থাকবে। নিজেরা পড়বে অন্যকে পড়াও। আর করোনাভাইরাসের সময় নির্দেশ দিয়েছি- নিজের গ্রামে গিয়ে কেউ নিরক্ষর থাকলে তাকে অক্ষর জ্ঞান দাও।