ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নাগরিক স্বাধীনতার গলায় ফাঁসির দড়ি ঝুলিয়ে দিয়েছে। নিঃশব্দ বোবাকণ্ঠই আওয়ামী বাকশালীদের কাছে প্রিয় বলেও মন্তব্য করেছেন রিজভী। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের সব দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এই নেতার ভাষ্য, ক্ষমতাসীনেরা উৎপীড়নের পথ বেছে নিয়ে যেভাবে গণতন্ত্রকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়েছেন, তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
তিনি বলেন, ‘আজ ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত দিন। ৭ বছর আগে ২০১৪ সালের এই দিনে সারা দেশে ভোটার ও বিরোধী দলের প্রার্থীবিহীন একতরফা বিতর্কিত, প্রতারণামূলক, হাস্যকর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশে প্রত্যাখ্যাত, জনধিক্কৃত একদলীয় নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও সারা দুনিয়ায় নিজেদের হেয়প্রতিপন্ন করে। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে গণহত্যা, গুম, নির্যাতন চালিয়েও ন্যূনতম ভোট আদায় করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। সারা দেশে নির্বাচন কেন্দ্রগুলো ছিল একদম ফাঁকা।’
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ সারা দেশে বিএনপি কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘৩০০ আসনের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেরা নিয়েছিল ২৯৩ আসন। মাত্র ৭টি আসন বিরোধী দলকে দেওয়া হয়। ’৭৩ সালের নির্বাচনে জাসদ ২৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। জাসদকে দেওয়া হয়েছিল মাত্র ১টি আসন।
দুর্নীতি, সন্ত্রাস, গণতন্ত্র হত্যা, ভোটাধিকার হরণ আওয়ামী লীগের ইতিহাসে নতুন নয়। দেশের ইতিহাসে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না।