রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে পুঠিয়া থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ সবাইকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার গভীর রাতে পুঠিয়া পৌরসভার গোপালহাটি ফকিরপাড়া মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পলি খাতুন (২০) এবং তার পাঁচ মাস বয়সী শিশুকন্যা ফরিহা। পলির স্বামী ফিরোজ আলী (২৬) বালিশ চাপা দিয়ে তাদের হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ফিরোজ আলী হত্যার পর সোমবার রাতেই ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় গাবতলী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
ফিরোজ আলী বিয়ের আগে থেকেই নেশাগ্রস্ত ছিলেন। চার বছর আগে পুঠিয়া পৌরসভার কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া মহল্লার জুলহাস আলীর মেয়ে পলি খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নেশার টাকার জন্য তিনি বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। এনিয়ে তার স্ত্রীর পলির সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ হতো। মাঝে মধ্যে ফিরোজ তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। নেশার টাকার জন্য এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মরদেহ দুটি উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দাফনকাজ শেষ করে রাতে তারা থানায় মামলা করেন। এতে ফিরোজ ছাড়াও তার বাবা-মাকে আসামি করা হয়। মামলার পরেই অভিযান চালিয়ে ফিরোজের বাবা-মাকেও গ্রেফতার করা হয়।
ওসি আরও জানান, বুধবার দুপুরে মামলার সব আসামিকেই আদালতে তোলা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিচ্ছেন কি না তা সন্ধ্যায় বলতে পারবেন