বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাজশাহীর বাঘায় জহুরুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে বাঘা থানা পুলিশ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া শিকদারপাড়া এলাকা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত জহুরুল ইসলাম একই উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মনিগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তিনি পানিকামড়া এলাকার একটি মোবাইলফোন কোম্পানির ডিলার কেন্দ্রের বিক্রয়কর্মী ছিলেন।
বাঘা উপজেলার বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, ওই যুবক পানিকামড়া ডিলারের দোকান থেকে মোবাইল ফোনসেট ও খুচরা যন্ত্রাংশ নিয়ে এলাকার দোকানে দোকানে পৌঁছে দিতেন। টাকা লেনদেনের ব্যাপারটিও দেখতেন তিনি। এই লেনদেন নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধও ছিল।
তিনি বলেন, আজ সকালে শিকদারপাড়া এলাকার রাস্তার পাশের নির্জন এলাকায় ওই যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি থানায় জানান। খবর পেয়ে তার স্বজনরাও আসেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, সকালে তেঁথুলিয়া শিকদারপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে জহুরুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দেখতে পান স্থানীয়রা। মোটরসাইকেলের ওপর কার্টন থাকলেও তাতে কোনো মোবাইল সেট ছিল না। অদূরেই পড়েছিল রক্ত মাখা হাঁসুয়া এবং তার কিছু দূরেই পাওয়া যায় জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ।
নিহতের পরিবার ও দোকান মালিকের বরাত দিয়ে ওসি জানান, মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১০-১১টার দিকে পানিকামড়া এলাকা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন জহুরুল। কিন্তু রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পান স্বজনরা।
এ নিয়ে রাতেই থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। এরপর থেকেই তাকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।