স্বামী ফিরোজ আলী স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার সময় নিচে চাপা পড়ে তাঁদের পাঁচ মাসের মেয়েটি মারা গেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে বিচারক রাসেল মাহমুদের আদালতে এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহীর পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার দিবাগত রাতে পুঠিয়া পৌরসভার গোপালহাটি ফকিরপাড়া মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন মা পলি খাতুন (২০) এবং পাঁচ মাস বয়সী মেয়ে ফরিহা। হত্যাকাণ্ডের পর রাতেই রাজশাহী থেকে বাসে করে ফিরোজ আলী ঢাকায় আসেন। পুলিশ তাঁকে গাবতলী এলাকা থেকে আটক করে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চার বছর আগে পুঠিয়া পৌর এলাকার কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া মহল্লার জুলহাস আলীর মেয়ে পলি খাতুনের সঙ্গে ফিরোজ আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নেশার টাকার জন্য তিনি বাড়ির বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতেন। এ নিয়ে তাঁর স্ত্রী পলির সঙ্গে মাঝে মাঝেই ঝগড়াবিবাদ হতো। স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটত।
পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই রাতে নিহত গৃহবধূর ভাই থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ফিরোজ ছাড়াও তাঁর মা-বাবাকে আসামি করা হয়। ফিরোজের বাবা হাসিম আলী ও মা চায়না বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারে তাঁদের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
খালেদুর রহমান আরও বলেন, ঢাকা থেকে নিয়ে আসার পর বাবা ও মায়ের সঙ্গে ফিরোজ আলীকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ফিরোজ বলেছেন, সংসারে অভাব-অনটনের জন্য স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেছেন তিনি। ধস্তাধস্তির সময় শিশুকন্যা চাপা পড়ে মারা গেছে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হলে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।