ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার জমিসহ ঘর পেলেন জাতীয় পার্টির দুবারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক জজ মিয়া (৮০)। ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জমিসহ আধাপাকা ঘর দেওয়া হয়েছে তাকে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ আধাপাকা নতুন ঘরের চাবি ও দলিল তুলে দেন ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন বাদল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মুজিব শতবর্ষে ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে গফরগাঁওয়ে ২০০ ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। এরমধ্যে একটি ঘর দেয়া হয় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক জজ মিয়াকে।
প্রসঙ্গত, এনামুল হক জজ মিয়া বিগত এরশাদ সরকারের আমলে দুই মেয়াদে প্রায় ৯ বছর গফরগাঁও আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এরশাদের পালিত কন্যা নাজমা খাতুনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
তবে এক সময় এমপি হলেও পরে তার জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে শুরু করে। এক পর্যায়ে নাজমা তাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্যজনকে বিয়ে করে বিদেশে পাড়ি জমান। পরে রাজধানীর মিরপুরে এক শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন তিনি। সেখানে তার দুই মেয়ে রয়েছে।
বর্তমানে উপজেলার সালটিয়া গ্রামে একটি ভাড়াবাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কষ্ট করে দিনাতিপাত করছিলেন। টাকা পয়সার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতে পারছিলেন না। বাসা ভাড়া পরিশোধ করাও তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল।
এক সময়ের প্রভাবশালী সাংসদ এনামুল হক জজ মিয়ার বর্তমান অবস্থার করুনচিত্রের সংবাদ তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।
জমিসহ ঘর পেয়ে সাবেক সাংসদ এনামুল হক জজ মিয়া দুঃসময়ে তাকে জমিসহ ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল সাংবাদিকদের বলেন, গফরগাঁও সরকারি কলেজ, ইসলামিয়া সরকারি হাইস্কুল, খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করণে সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক জজ মিয়ার অবদান রয়েছে। তার জন্য কিছু করতে পেরে ভালো লাগছে।