বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান জানান, বহিষ্কৃত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী।
“র্যাগিংয়ের ঘটনায় ১১ জনকে বহিষ্কার করার অফিস আদেশ আমার হাতে এসেছে। তাদের মধ্যে একজনকে দুইবছর এবং দশজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।”
এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধক রহিমা কানিজ এ বিষয়ে একটি দাপ্তরিক আদেশ জারি করেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের মো. শিহাব ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান, চারুকলা বিভাগের মো. আকাশ হোসেন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের মো. তামিম হোসেন ও মো. রিজওয়ান রাশেদ সোয়ান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. ফয়জুল ইসলাম নিরব, বাংলা বিভাগের মো. শিমুল আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সাকিল মাহমুদ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস বিভাগের মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ ও মো. রোজেন নুর এবং ইতিহাস বিভাগের সারোয়ার হোসেন সাকিল।
তাদের মধ্যে শিহাবকে দুই বছর এবং বাকিদের এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৪৮তম ব্যাচের (প্রথম বর্ষ) শিক্ষার্থীদেরকে ‘র্যাগিংয়ের’ অভিযোগ ওঠে আগের ব্যাচের এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
তারা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ‘অবৈধভাবে’ অবস্থান করছিলেন বলে দাপ্তরিক আদেশে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে গত ৯ জানুয়ারি অনলাইনে সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন থেকেই এ বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।
বহিষ্কারের নির্ধারিত সময়ে এই শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল কিংবা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না। মেয়াদ শেষ হলে বঙ্গবন্ধু হল ছেড়ে তাদের জন্য বরাদ্দ করা হলে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।