প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে সাজানো অপহরণ ও গুমের মামলায় ফেঁসে গেছেন পটুয়াখালীর দুমকিতে বাদী আজগর আলী (৫০)।
পূর্বশত্রুতায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ছেলে মিজানুর রহমানকে (১৭) গুম করে রেখে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গতবছরের ২৯ আগস্ট পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের ৬ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন আজগর আলী।
এসআই জাফর গোপনীয় তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কয়েক দফা অভিযান চালান। শেষে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে পটুয়াখালীর জনৈক নিকটাত্মীয়ের বাসা থেকে কথিত অপহরণ ও গুমের ভিকটিম মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন তিনি। এতে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়। ভিকটিমকে উদ্ধারের পর থেকেই মামলার বাদী আজগর আলী আত্মগোপন করেছেন।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার দুমকি গ্রামের আমজেদ আলী হাওলাদারের ছেলে আজগর আলী হাওলাদার (৫০) একই উপজেলার লেবুখালী গ্রামের প্রতিপক্ষ আনোয়ার প্যাদা (৫০), দেলোয়ার প্যাদা (৪৫), আরিফ প্যাদা (২২), রাহাত প্যাদা (২০) ও শাহজাহান প্যাদার (৫৫) বিরুদ্ধে তার নিজের ছেলেকে অপহরণ ও গুমের মামলাটি দায়ের করে। আদালত মামলাটি দুমকি থানায় এজাহারভুক্ত করে দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।
দুমকি থানার পুলিশ হেফাজতে উদ্ধারকৃত ভিকটিম মিজানুর রহমান অপহৃত কিম্বা গুম হয়নি মর্মে স্বীকারোক্তি করে জানায়, তিনি তার বাবার নির্দেশে নিজেই বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিলেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা দুমকি থানার এসআই জাফর বলেন, ভিকটিম উদ্ধারের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হলো বাদী আসামিদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে সাজানো গুমের মামলাটি করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মেহেদি হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, উদ্ধারকৃত ভিকটিমের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাদীর বিরুদ্ধেও আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।