রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় স্ত্রী ফেরদৌস আরা লিপিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় স্বামী এসাদুল হক মামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোছাম্মাৎ রোকসানা বেগম হেপী এ রায় ঘোষণা করেন।
জামিনে থাকা এসাদুল হক মামুন রায় ঘোষণার আগে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এ কে এম সফিকুর রহমান (স্বপন)। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিমুদ্দিন শিমুল।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৬ নভেম্বর ফেরদৌস আরা লিপি এবং এসাদুল হক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা রাজধানীর শাহ আলী এলাকায় বাস করতেন। ২০০৬ সালের ২৩ জানুয়ারি আসামি লিপির ভাই জমিরুল আবেদীন সুমনকে জানায়, কে বা কারা তার বোনকে গলা কেটে হত্যা করেছেন। তবে লিপির পরিবার সন্দেহ করে এসাদুলই তাকে হত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই জমিরুল আবেদীন সুমন পরদিন ২৪ জানুয়ারি শাহ আলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। দুইবার আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে থানা পুলিশ। সাতজন তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে শেষ পর্যন্ত সিআইডির এএসপি আকবাল আজাদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আট বছরের দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২০ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।