সামরিক অভ্যুত্থানের কারণ ব্যাখ্যা করে মিয়ানমার সামরিক সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ধাপে ধাপে অবস্থার পরিবর্তন হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন সামরিক কর্মকর্তারা। অং সান সু চি ক্ষমতায় থাকাকালে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গার ঢল আসতে শুরু করে বাংলাদেশে।
সে সময় মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়। কিন্তু গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চিকে আটক করে এবং সেনাবাহিনী দেশটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এ অবস্থায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া ব্যাপারে বিভিন্ন মহলে যখন সংশয় চলছিল, তখন মিয়ারমারে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে। রাখাইনে নতুন মিলিটারি কমান্ডার পরিদর্শন করেছেন। সে সময়ে রোহিঙ্গা মুরব্বিদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তারা বলেন, আমরা (রোহিঙ্গা) চলাফেরা করতে পারি না। এ সময়ে আর্মিদের নতুন সরকার বলেছেন, ধাপে ধাপে বিষয়গুলো সমাপ্ত করা হবে। আর এগুলো শুনে কতুপাংলয়ের রোহিঙ্গারা মহাখুশি। আর্মি তাদের অভয় দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের কারণ ব্যাখ্যা করেছে। তারা বলেছেন, নির্বাচনে ভুয়া ভোট হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের কারণে আল-জাজিরার গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদন তথ্যগত ভুল থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।