ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় এক তরুণকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সেই তরুণের নাম সম্রাট হোসেন (৩৫)। নিহত সম্রাট উপজেলার চুটলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সম্রাটকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সবুজ নামে তারই এক বন্ধুর বিরুদ্ধে।
শনিবার (১ মে) রাতে গ্রামের দক্ষিণ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সবুজ আর সম্রাটের মধ্যে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। সবুজ সম্রাটকে এস্কেভেটর (স্থানীয়ভাবে ভেকু হিসেবে পরিচিত) চালানো শিখিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সম্রাট রাজধানীর কোনো একটি কোম্পানিতে ভেকু চালাতেন। বাড়িতে খুবই কম আসতেন তিনি। করোনার জন্য কাজ বন্ধ হয়ে গেলে দুই সপ্তাহ আগে সম্রাট বাড়িতে আসেন।
স্থানীয়রা বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে সম্রাটের বাড়ির পাশে তারা দুজন গল্প করছিলেন। রাত গভীর হলে সবুজ সম্রাটকে ডেকে নিয়ে তার বাড়ির দিকে যান। কিছুক্ষণ পর সম্রাটের চিৎকার শুনে আমরা গিয়ে দেখি সবুজের বাড়ির সামনে সম্রাটের রক্তমাখা মরদেহ পড়ে আছে।
পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, পেছন থেকে ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা এই মুহূর্তে তা বলা বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা নেয়া হবে।