রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি, শিক্ষক লাঞ্ছিত করাসহ গত ২ মে থেকে চলা ঘটনাগুলোর নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষকরা। হুমকি দাতাসহ লাঞ্চিতকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানান তারা।
বুধবার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ড. আশরাফুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিন্ডিকেট সভা সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতিবিরোধী অংশের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির সময়, চাকরিপ্রত্যাশী ও বহিরাগতদের মধ্যে থেকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দেয়া হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে আন্দোলনরত শিক্ষকদের কেউ কেউ ধাক্কাধাক্কির শিকার হন। এর আগে ২ মে একই স্থানে চাকরিপ্রত্যাশীরা উপস্থিত প্রক্টরকে লক্ষ্য করে চাকরির আবেদনের টাকা ফেরত চেয়ে উচ্চবাচ্য করেন। এছাড়া, উপাচার্যসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার হুমকি দেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলা এসব ঘটনায় রাবি শিক্ষক সমিতি ক্ষুব্ধ, বিস্মিত।
শিক্ষক নেতারা বলেন, চাকরিপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ সরকারদলীয় ছাত্র ও যুব সংগঠনের সঙ্গে জড়িত এবং তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। গতকাল চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে একজন যুবক আন্দোলনরত শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দেন বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট সভা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, রাবি ক্যাম্পাসের সাম্প্রতিক সার্বিক পরিস্থিতি একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই ক্ষতিকর, শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টকারী। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবস্থান প্রতিহত না করতে পারা প্রক্টরিয়াল বডির ব্যর্থতার পরিচায়ক বলে আমরা মনে করি।