কর্মহীন শ্রমজীবীদের সরকারি সহায়তা এবং কর্মরত শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ঈদের আগে যথাসময়ে পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।
আজ শুক্রবার (৭ মে) শ্রমিক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, কোন কারখানা শ্রমিকদের বেতন বোনাস দিতে ব্যর্থ হলে ১০ মে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের জন্য প্রেরিত বিবৃতিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি দায়িত্বশীল ও সৌজন্যমূলক আচরণের আহবান এবং ঈদের আগেই কর্মহীন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ সহায়তা প্রদানের দাবিও জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, লকডাউনে উপার্জনহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষদের টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ এবং তা প্রকৃত শ্রমজীবী মানুষদের হাতে পৌঁছাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে আসছি।
সরকারের সহায়তা বন্টনের গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি দৈনিক আয়ের উপর টিকে থাকা গণ-পরিবহন শ্রমিক, পর্যটন শ্রমিক, রাইডার, হালকা যানবাহন চালক, নির্মাণ শ্রমিক, রিক্সা-ভ্যান চালক, হকার, পাদুকা শ্রমিক, দিনমজুর, দোকন-কর্মচারী, গৃহশ্রমিক যারা লকডাউনে উপার্জনহীন হয়ে চরম অসহায়ত্বের মধ্যে জীবনযাপন করেছে সরকার তাদের হাতে সহায়তা পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
৫০ লাখ শ্রমজীবী মানুষকে নগদ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও সংশ্লিষ্ট আমলা আর জবাবদিহিতাহীন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি, দায়িত্বহীনতার কারণে বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। অথচ সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট খাতের শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোন পরামর্শ করেনি।
শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি হারানো, অভাবগ্রস্ত শ্রমিকদের যে তালিকা দাখিল করেছিল সেই তালিকার শ্রমিকদেরও কোন সহযোগিতা করা হয়নি।
ফ্রন্টের নেতারা শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র চাকুরি হারানো শ্রমিকদেরকে সহায়তা দেবার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় আগামী ১০ মে সকল শ্রমিক সংগঠন একত্রিত হয়ে দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দেন তারা।