শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অব্যয়িত ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৩৩০ টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দিয়েছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা শিক্ষার্থীদের ছাড়ও দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে একটি নির্দেশনা দিয়েছিল যে, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা ব্যয় করা না হলে তা আবার শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে হবে।’
রাজশাহী নগরের অগ্রণী স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদের ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৩৩০ টাকা ফেরত দিয়েছে । একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা শিক্ষার্থীদের ছাড় দিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির এই অবস্থায় রাজশাহীর অগ্রণী স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেই অনেক শিক্ষার্থীর অভিবাবকগণই মন্তব্য করেছেন।
রাজশাহী নগরীর আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টাকা ফেরত বা টিউশন ফির সঙ্গে অব্যয়িত টাকা সমন্বয় করেছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছর ১৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে জেলা শিক্ষা কার্যালয়গুলোতে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ (এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি গ্রহণ করবে কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃ ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ফি গ্রহণ করবে না বা করা হলে তা ফেরত দেবে। অথবা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে। এ ছাড়া অন্য কোনো ফি যদি অব্যয়িত থাকে, তা একইভাবে শিক্ষার্থীদের ফেরত দেবে বা টিউশন ফি এর সঙ্গে সমন্বয় করবে।
রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, ‘রাজশাহী জেলায় ৫৩৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শুধু মহানগরের মধ্যে রয়েছে ৯৮টি। অধিদপ্তরের চিঠি তাঁরা এই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পাঠিয়ে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।’
কিন্তু কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওই নির্দেশনা মেনে অব্যয়িত টাকা সমন্বয় করেছে বা শিক্ষার্থীদের ফেরত দিয়েছে কি না, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই বলেও তিনি জানান।