রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে গণনিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে মাত্র ৯ জনের জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।
নিয়োগের দিন সহকারী রেজিস্ট্র্রার মামুন অর রশীদ ১৪১ জনের নিয়োগ হয়েছে জানালেও তদন্ত কমিটি ১৩৮ জনের নিয়োগ পাওয়ার বিষয়ে তথ্য পেয়েছে। এর মধ্যে ১২৯ জনেরই সিভি পাওয়া যায়নি।
তদন্ত কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের জানান, ‘নিয়োগকাণ্ডে জড়িতরা আমাদের মাত্র ৯ জনের সিভি দেখাতে পেরেছেন। এটির মাধ্যমেই বোঝা যায়, এই নিয়োগ দিতে উপাচার্য কতটা অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।’
তবে চাকরি পাওয়াদের কয়েকজন দাবি করেছেন, তারা সবাই জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তাদের নিয়োগ বাতিল করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেসব গোপন করেছে।
রাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাহফুজ আল আমিন বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন। তিনি বলেন, সবাই সিভি জমা দিয়েছে। সিভি না দিলে আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্থায়ী ঠিকানা, নাম, পিতার নাম কীভাবে পাওয়া গেল? নিয়োগ আদেশে তো বাবার নাম, স্থায়ী ঠিকানা লেখা ছিল। সিভি না থাকলে এগুলো সম্ভব হতো না।