মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শ্রমিক বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নালায় পড়ে পাঁচ বাংলাদেশিসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৩৩ জন।
রোববার রাত ১১টার দিকে সেপাংয়ে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিন নারীসহ দশজনই বিদেশি কর্মী। তাদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি, তিনজন ইন্দোনেশীয় এবং দুজন নেপালি। নিহত অন্যজন মালয়েশিয়ার নাগরিক, তিনি ওই বাসের চালক ছিলেন।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- মো. রাজিব মুনশী (২৬), মো. সোহেল (২৪), মহিন (৩৭), আল আমিন (২৫), গোলাম মোস্তফা (২২)।
আহতদের স্থানীয় তিনটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে নিউ স্ট্রেইটস টাইমস।
তাদের মধ্যে মো. নাজমুল হক (২১), মো. রজবুল ইসলাম (৪৩), ইমরান হোসাইন (২১) সেরডাং হাসপাতালে এবং জাহিদ হাসান (২১), সামিম আলী (৩২), মোহাম্মদ ইউনূস (২৭) ও মো. রাকিব (২৪) পুত্রাজায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো লিখেছে, কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের এমএএস কার্গো কমপ্লেক্সের ৪৩ জন কর্মী ছিলেন ওই বাসে। রাতের পালার ডিউটির জন্য বিভিন্ন হোস্টেল থেকে তাদের নিয়ে কার্গো কমপ্লেক্সে যাওয়ার সময় বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। চাকা পিছলে গিয়ে বাসের সামনের অংশ রস্তার পাশের গভীর নালায় পড়ে যায়।
পুলিশ ও এমএএস কার্গো কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্ট্রেইটস টাইমস জানায়, ওই বাসের মালয়েশীয় চালক এবং আটজন বিদেশি শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
জেলা পুলিশের সহকারী কমিশনার জুলফিকার আদমশাহ বলেন, “আমরা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন।”
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ ফাদিল সালেহ বলেন, তারা ওই দুর্ঘটনার খবর পান রাত সোয়া ১১টার দিকে। আরোহীরা ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। বাসের কয়েকটি অংশ কেটে তাদের বের করতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়।