গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় প্রতি মিনিটে ৩১টির বেশি বোমা ফেলেছে। ২৫ মিনিটে ইহুদি বাহিনী মোট ১২২টি বোমা ফেলেছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হিদায় জিলবারম্যানের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের স্থানীয় সময় রাত ১০টায় গাজায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের টানেল লক্ষ্য করে ওই হামলা করা হয়।
এদিকে বুধবার ভোরেও ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। সকালে গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমানের গোলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সহিংসতা অবসানে কূটনৈতিক উদ্যোগের সফলতা খুবই সামান্য। অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিসর ও জর্ডানকে সঙ্গে নিয়ে নতুন একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে ফ্রান্স।
মঙ্গলবার খুব সামান্য সময়ের জন্য গাজার সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিয়ে ত্রাণ বহনকারী গাড়িবহর প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরায়েল। তবে নতুন করে গোলাবর্ষণ শুরু হওয়ার পর আবারও ওই ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের সব নাগরিকের জন্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ২২০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে ৬৩ জন। অন্যদিকে ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন।
গতকাল ইসরায়েল বলেছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৫০ জন সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে। তবে হামাসের তরফ থেকে কোনো হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। ইসরায়েলের দাবি সংঘাতের শুরুতে ফিলিস্তিনের দুই স্বাধীনতাকামী গ্রুপের কাছে প্রায় ১২ হাজার রকেট কিংবা মর্টার ছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত ইসরায়েল লক্ষ্য করে প্রায় তিন হাজার ৩০০ রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।