fbpx
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
বাড়িসারাদেশরাজশাহীরাজশাহীতে টিকার বরাদ্দ শেষ, দুশ্চিন্তায় দ্বিতীয় ডোজ গ্রহীতারা

রাজশাহীতে টিকার বরাদ্দ শেষ, দুশ্চিন্তায় দ্বিতীয় ডোজ গ্রহীতারা

রাজশাহীতে গতকাল বৃহস্পতিবার টিকার বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। ফলে প্রথম ডোজ নেওয়া বাকি ব্যক্তিরা এখন আর টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছেন না।

রাজশাহীতে লক্ষাধিক মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৬৪০ জন। ।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কিন্তু এখন বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় কত দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজশাহীর সিভিল সার্জন কাইয়ুম তালুকদার আজ শুক্রবার বলেন, প্রথম তাদের বলা হয়েছিল যে প্রথম ডোজ দেওয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। তারপর বলা হয়েছে, প্রথম ডোজের তিন মাসের মধ্যেই পরবর্তী ডোজ দিলেই হবে। এগুলো সবই মৌখিক নির্দেশনা ছিল।

সিভিল সার্জন কাইয়ুম তালুকদার আরও বলেন, ‘আজ (শুক্রবার ২১ মে) টিভিতে দেখলাম, চার মাসের মধ্যে পরবর্তী ডোজ দিলেই হবে। যে টিকা প্রথমবার দেওয়া হয়েছে, সেই টিকাই দ্বিতীয়বার দিতে হবে। তবে করোনা ভ্যাকসিন বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত নয়। এ নিয়ে গবেষণা চলছে। যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখতে হবে যে তাঁদের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না। তাই কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। সবকিছুই গবেষণাধীন।’

রাজশাহী সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৭৪ জন মানুষকে কারোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ডোজ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৬৪০ জন। এ অবস্থায় গতকাল থেকে টিকা সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ছাড়াও নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার টিকা শেষ হয়ে গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় কিছু টিকা আছে। তবে সেগুলো দিয়ে কয়েক দিন চলবে। বিভাগের আট জেলায় মোট ৬ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার জন। এখন প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষকে দ্বিতীয় ডোজে টিকার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সামান্য কিছু টিকা আছে। এ ছাড়া বগুড়ায় কিছু বেশি টিকা আছে। কারণ, গত মঙ্গলবার বগুড়ায় ৬০০ ভায়াল (শিশি) টিকা এসেছে। এক ভায়ালে ১০ জনকে টিকা দেওয়া যায়। তাই সেখানে আরও কয়েক দিন চলবে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments