রাজধানীর পল্লবীতে ৬ বছরের সন্তানের সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে সাহিনুদ্দিনকে খুন করার পর বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, সাহিনুদ্দিন লক্ষ্মীপুরের সাবেক সাংসদ লায়ন এমএ আউয়ালের হয়ে কাজ করতেন। অথচ খুন হওয়ার মাত্র ৯ দিন আগে খোদ সাহিনুদ্দিনের বিরুদ্ধেই ৫০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার মামলা ঠুকে দেন আউয়াল।
গত ৭ মে পল্লবী থানায় এ মামলা (নম্বর-১৯) করেন আউয়ালের পক্ষে তার আবাসন প্রকল্প হ্যাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. মোকসেদ আলী।
মামলার এজাহারে খুনের শিকার সাহিনুুদ্দিন ছাড়াও তার মা আকলিমা বেগম (সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার বাদী) ও ভাই মো. মাইনুদ্দিন এবং স্থানীয় একটি আবাসন প্রকল্পের মালিক মেজর (অব) মোস্তফা কামালসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন- মো. নাজমুল ইসলাম মিলন, আবদুল বারেক হাওলাদার, শোয়েব রিয়াদ, নজরুল ইসলাম, আল আমিন, আমির চাঁন, স্বপন, খোকন ওরফে নাটা খোকন, শফিক, সরোয়ার, সাবু, রাজা মিয়া ও মো. বাবু। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১৫ জনকে। আসামিরা সবাই পল্লবী থানা এলাকারই বাসিন্দা।
সাহিনুদ্দিন খুনের পর পরই এ হত্যাকা-ের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযোগ ওঠা এমএ আউয়ালকে ফোন দেন কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেওয়া ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক কিলার সুমন ব্যাপারী। ৩০ সেকেন্ডের সেই ফোনকলে আউয়ালকে কিলার সুমন জানায়, ‘স্যার ফিনিশ’।
সাহিনুদ্দিন হত্যাকা-ের আগে আউয়াল ছাড়াও কিলার সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন হ্যাভেলির সিকিউরিটি সুপারভাইজার মোকসেদ আলী কর্তৃক করা মামলার একাধিক আসামি। মোবাইল ফোনে সুমনের সঙ্গে তাদের কী কথা হয়েছিল সেই তথ্য এখন গোয়েন্দাদের হাতে। যা যাচাই-বাছাই করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত রবিবার বিকাল আনুমানিক সোয়া ৪টার দিকে পল্লবীর ১২ নম্বর ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজে সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার পর মোটরসাইকেলযোগে ঘটনায় সম্পৃক্ত এক যুবকের সঙ্গে বাড্ডা হয়ে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলেন কিলার সুমন। এর আগে বাবাকে কোপাতে দেখে নিহতের ৬ বছরের ছেলে মাশরাফি দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই সড়ক পেরিয়ে নানির বাড়িতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে খালা মাকসুদাকে বলে, ‘সুমন গু-া আব্বুকে মারতেছে, তাড়াতাড়ি চলো’। খবর পেয়েই মোবাইল ফোনে মাকসুদা পল্লবীর এসবি অফিসের সামনে অবস্থান করা বড় ভাই জহিরুল ইসলামকে বলেন, ‘সিরামিকসের ৩১ নম্বরে সুমন পোলাপাইন নিয়া সাহিনুদ্দিনকে মারতেছে। তারে বাঁচান।’
কিংকর্তব্যবিমূঢ় জহিরুলের মোবাইল ফোনে ব্যালেন্স না থাকায় পাশেই অবস্থান করা জনৈক তুহিনকে তার মোবাইল ফোন দিয়ে কিলার সুমনকে কল দিতে অনুরোধ জানান। সময়টা তখন বিকাল ৪টা ৪৪। তুহিন কল দিয়ে সুমনকে বলেন, তুহিন ‘এই সুমন, তুমি নাকি সাহিনুদ্দিনকে মারতেছো। সুমনÑ কে কইছে? ৩১-এ তুমি নাকি মাইরা কিছু রাখো নাই?’ সুমনÑ কে কইছে? এ সময় তুহিন বলেনÑ ‘আমার সামনে জহিরুল ভাই আছে, উনি কইতে আছে। কথা বল। সুমনÑ জহিরুল ভাইরে গিয়া দেখতে কন।
তাদের কথোপকথনের মধ্যেই জহিরুলের সেলফোনে নিহতের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার কল করে সাহিনুদ্দিনের ওপর হামলার কথা জানান। কলটি রেখে জহির আগের কলে সুমনকে বলেনÑ হ্যালো, মাশরাফি দৌড়াইয়্যা বাড়িতে গিয়া বলছে, তুই নাকি ৩১-এ সাহিনুদ্দিনরে মারতাছোস। সুমনÑ হ, তাড়াতাড়ি গিয়া দেখেন, আমি বাইরে। জহিরÑ তুই কোনডাই গেছস? সুমনÑ আমি আছি, এই যে (ইতস্তত…) শাহবাগ যাইতাছি। জহিরুলÑ শাহবাগ কেন যাইতাছস? সাইনুদ্দিন কই? সুমনÑ আমি জানি? জহিরুলÑ ঘটনাডা কী? সত্য কইরা ক। সুমনÑ ঘটনা কি আপনারা জানেন না, আমি জানি? জহিরÑ বাচ্চা ছেলে কি তাইলে মিছা কতা কইছে?’ এর পর কল কেটে দেন সুমন। এর পর ঘটনাস্থলের দিকে ছুটতে থাকেন জহিরুল ও তুহিন। ততক্ষণে সব কিছুর ঊর্ধেŸ চলে গেছেন সাহিনুদ্দিন। তার ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত লাশ পড়ে ছিল রাস্তায়।
জানা গেছে, পল্লবীর বাউনিয়া মৌজায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণকৃত ১৬৮ একর জমির একটি অংশে জবরদখল করে গড়ে তোলা আবাসন প্রকল্প হ্যাভেলি প্রপার্টিজ নামের প্রতিষ্ঠানটি আউয়ালের মালিকানাধীন। এ প্রকল্পে বিভক্ত দুই গ্রুপের মধ্যে একটির নেতৃত্ব দেন কিবরিয়া; অন্যটির আবু তাহের। গত রবিবার পল্লবীর ১২ নম্বর ডি-ব্লকে ছেলের সামনে নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার সাহিনুদ্দিন সম্প্রতি শেল্টার দিয়ে আসছিলেন কিবরিয়া গ্রুপকে। সাহিনুদ্দিন খুনে সরাসরি জড়িত সুমন ব্যাপারী শেল্টার দিতেন তাহের গ্রুপকে।
অন্যদিকে একই মৌজার আলীনগর এলাকায় আরেকটি আবাসন প্রকল্পের মালিক মেজর (অব) মোস্তফা কামাল। এ আবাসন প্রকল্পটির শেল্টারে রয়েছেন নিহত সাহিনুদ্দিনের ভাই মাইনুদ্দিন। কিলার সুমন গত ডিসেম্বরে সাহিনুদ্দিনকে কোপানোর পর তার চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সহায়তা করেছিলেন মোস্তফা কামাল। কিন্তু সুবিধা নেওয়ার পরও সাহিনুদ্দিন হ্যাভেলি প্রপার্টিজের পক্ষে অবস্থান নিয়ে দিন কয়েক আগে মোস্তফার ৩২ শতাংশ জমি দখল করতে যান। মোস্তফার পক্ষে মাইনুদ্দিন বাউন্ডারি দেয়াল করতে গেলে হ্যাভেলির পক্ষে সাহিনুদ্দিন বাধা দেন। বাঁধে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব। অথচ হ্যাভেলির পক্ষে কাজ করা নিহত সাহিনুদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা মামলা দেন সাবেক ওই এমপি।
হ্যাভেলি প্রপার্টিজের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোকসেদ আলী সাহিনুদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেনÑ নিহত সাহিনুদ্দিন ও তার ভাই মাইনুদ্দিন আসামিদের নিয়ে আমার কোম্পানির এমডি এমএ আউয়াল সাহেবের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আসামিদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উল্লিখিত সম্পত্তি অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ঘটনার বিষয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে থানায় এবং আদালতে মামলা করি। ওই সম্পত্তির বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিবাদীরা আমাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল এবং চাঁদার টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করে এবং সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে। গত ২৭ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে মাইনুদ্দিন ও সাহিনুদ্দিন তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন আসামিদের নিয়ে আমাদের সম্পত্তিতে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং মালামাল ও টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পল্লবী থানার মামলা (নং-৭০, তারিখ-২৭ এপ্রিল) রুজু হয়। মামলা করার পর পুলিশ মাইনুদ্দিন ও সাহিনুদ্দিকে গ্রেপ্তার করলে উল্লিখিত আসামিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। গত ৩০ এপ্রিল উল্লিখিত ১ থেকে ১৪ নম্বর আসামিরা তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ আসামিকে নিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আমাদের কোম্পানির সাইড অফিসে এসে সাইড ম্যানেজারের কাছে ফের চাঁদার টাকা দাবি করে। তিনি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা আমাদের কোম্পানির ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোর করে দখল করবে এবং আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
আসামি মোস্তফা কামাল একজন ভূমিদস্যু। সে নিরীহ লোকজনদের জমি জোর করে দখল করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে আসছে। আসামিদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় এবং মামলা করায় আসামিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ মে রাত সোয়া ২টার দিকে পল্লবীর সেকশন-৯, উত্তর কালশী বুড়িরটেকস্থ বাউনিয়া মৌজাস্থিত সিএস ও এসএ ৩১২৪, দাগের সম্পত্তিতে অবস্থিত হ্যাভেলি প্রপার্টি ডেভলমেন্ট লিঃ, আলীনগর আবাসিক প্রকল্পের মেইন গেটের তালা ভেঙে আমাদের প্রকল্পে প্রবেশ করে ১০-১২টি সাইন বোর্ড নিয়ে যায়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোর করে দখল করার উদ্দেশ্যে পাকা বাউন্ডারি ওয়াল ও গার্ডদের থাকার ঘর ভাঙচুর করে।
এ সময় আমিসহ আমাদের প্রকল্পের সাইড সুপারভাইজার সুমন ও টিটুসহ অন্য কর্মচারীরা এগিয়ে গিয়ে আসামিদের বাধা দিলে তারা আমাদের এলোপাতারি মারধর করে। মোস্তফা কামাল তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে আমাদের গুলি করার ভয় দেখায়। এ সময় আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে আসামিরা সাইড অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে থাকা পৌনে ৪ লাখ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলায় উল্লিখিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে মেজর (অব) মোস্তফা কামাল আমাদের সময়কে বলেন, সাবেক এমপি আউয়াল নিজেই একজন ভূমিদস্যু। তিনিই আমাদের জমি দখল করে উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। এসব পুলিশের তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।
জানা গেছে, নিহত সাহিনুদ্দিনদের বিস্তর সম্পত্তি ও গ্রেপ্তার সাবেক এমপি আউয়ালের দখল সাম্রাজ্য জবরদখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় কয়েকটি গ্রুপ। কিলার সুমন ও আউয়াল গ্রেপ্তার হলেও তাদের পৃথক গ্রুপের বেশিরভাগ সদস্য এখনো অধরা। তাদের অধিকাংশই পল্লবীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। বাহিনীর সদস্যরা হলেনÑ মনির, মানিক (সম্প্রতি ক্রসফায়ারে নিহত), ডেবরা বাবু, বাবুয়া সুমন, দিপু, রাজন (কারাগারে), আলাল, জনি, কনিক, রিকশা সুমন, সরোয়ার সরো, মোল্লা বস্তির গিটু বাবু, নাটা শামীম, ইব্রাহীম, বকর, সেলিম, সাদ্দাম, পনির, আনোয়ার, জাসিম, শহীদ রুবেল, কসাই জাবেদ, গ্যাং বাবু, পাপপা, ইয়াবা শফিকুল, সাগর, ইকবাল, আচার সুমন, কালা বাবু, তবলা সুমন, শাহীন, ইয়াবা বাবু, পাংকু আলামিন, টিটু, প্রদীপ, সুকান্ত, মুসা, কানা রনি, কানা জুয়েল, দাঁতভাঙা বুলু, আবু সালেহ, দাগি ফিরোজ, কিলার বাপ্পী (কারাগারে), হকি সুমন, নাসির, কাজল, আলু রুবেল, ডিশ সুমন, শাহীন, পাংকু আলামিন, হাতকাটা রাজিব, সেলিম, ঠিকাদার জাহিদ, আবু কালাম, হাবিব, মরণ, ব্লেড বাবু, উজ্জ্বল, হরি, প্রান্ত, শাওন, নাটা বাবু, হাসান ও মাহবুব। রুবেল, কাল্লু, টেকের বিল্লাল, সরোয়ার, ফরেন ও শরিফ।
পৃথক বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের নামে পল্লবী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর বেশিরভাগই এখন এলাকাতেই প্রভাবশালীদের শেল্টারে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। মওকা বুঝে তারা স্থানীয় পুরনো কয়েকটি দখলবাজ বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার পাঁয়তারা করছে। আবার এসব বাহিনীর সদস্যদের কয়েকজন পালিয়েছে ঢাকা ছেড়ে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই তারাও আবার পল্লবীতে ফিরে এসে জড়িত হবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সাহিনুদ্দিন খুন ও জমির দখলবাজির পাঁয়তারাকে কেন্দ্র করে পল্লবীতে এখন থমথমে ভাব বিরাজ করছে বলেও জানা গেছে।
সর্বশেষ গতকাল রাতে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, সাহিনুদ্দিন হত্যামামলায় শরিফ নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার কাঁচপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যামামলায় সাবেক সাংসদ এমএ আউয়ালসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পল্লবী অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আহসান খান জানান, এ খুনের মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়াল এবং তার প্রধান সহযোগী সুমন ব্যাপারী, হাসান ও জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু রিমান্ডে আছেন। সুমন ব্যাপারী সন্ত্রাসী ভাড়া করা এবং খুনে সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। সুমন সাহিনুদ্দিনকে খুনের জন্য শরিফকে ভাড়া করেছিলেন। আউয়ালের দুই সহযোগী মুরাদ হোসেন ও রকি তালুকদার শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সাহিনুদ্দিন হত্যায় গ্রেপ্তার আরেকজন দীপু বর্তমানে কারাবন্দি।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, সাহিনুদ্দিন হত্যামামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব তথ্যাদি যাচাই করা হচ্ছে। হত্যাকা-ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। সূত্রঃ আমাদের সময়।